গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আফির উদ্দিন মাস্টারকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা এক প্রতিবন্ধী নারীকে দিয়ে ওই মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় ধনুয়া এলাকায় অভিযুক্ত আফির উদ্দিন মাস্টারের বাবা হাজী শরাফত আলী তার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাবা হাজী শরাফত আলী তার পরিবারের লোকজনকে সাথে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় তার দুই ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আফির উদ্দিন মাস্টার স্থানীয় ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ধর্ষণ মামলায় ওই শিক্ষকের ভাই শাহাবুদ্দিনকে ধর্ষণ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্ষিতা বর্তমানে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তিনি অভিযোগ করেন, গত তিন বছর আগে একই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ও প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা নারীর খালাতো ভাই আবদুস সালামের সাথে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আব্দুস সালাম গাজীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাজী শরাফত আলী গং আদালত থেকে ডিক্রি পান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক এবং তার ভাই শাহাবুদ্দিনকে অভিযুক্ত করেন। শিক্ষকের বাবা মা ও তার দুই সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা নারী শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে রোববার রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।