মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গাদের পর এবার দক্ষিণাঞ্চলীয় কারেন প্রদেশে সেনাবাহিনীর অত্যাচারে জীবন বাঁচাতে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি নিজেদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যাপক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন লিবারেশন আর্মি-কে.এন.এল.এ। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জোট গঠনের ঘোষণা দেয়ায় অঞ্চলটিতে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংঘাত-সহিংসতার কারণে জীবন বাঁচাতে এভাবেই সীমান্ত পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন কারান জাতিগোষ্ঠীর শত শত মানুষ। অনেকে আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন-জঙ্গল আর পাহাড়ি নদী বেয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমার ছাড়ছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি অঞ্চলটিতে নিজেদের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে বিদ্রোহীগোষ্ঠী কারান ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি।
কে.এন.এল.এ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিকে নিজেদের বিপ্লবী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে কারেন জাতিগোষ্ঠী। তবে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অব্যাহত সংঘাতের কারণে বিপ্লবের দৃশ্যমান কোনো সুফল নেই।
একজন বলেন, ‘মার্ক রেভোল্যুশন ডে দেখতে আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। আমি খুবই খুশি। দিনটি আমাদের কাছে কারেন নববর্ষের মতো।’
আমাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা বুঝতে পারছি না। তবে আমরা স্বাধীনতা চাই। সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চাই।
খ্রিস্টান অধ্যুষিত থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের এ অঞ্চলটিতে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে অঞ্চলটির স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।
সো জোহনি বলেন, ‘আমরা খুব সহজেই এই অঞ্চলকে স্বাধীন করতে পারবো। সরকার আমাদের কোনো দাবিই শুনছে না। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
সরকারের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি এতদিন শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা সফলতার মুখ দেখিনি। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে কারেন লিবারেশন আর্মি। এতে রাখাইনের মতো ওই অঞ্চলটিতে চরম মানবিক সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।