জ্বিনের রানী পরিচয় দিয়ে তিন মাস আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তি জোহরের নামাজের পর কবর থেকে জীবিত মানুষ বেরিয়ে আসবে বলে প্রচার করেন ময়মনসিংহ জেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের রহিমা ‘কবিরাজ’।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই কবর ঘিরে ভিড় জমান হাজার হাজার উৎসুক জনতা। উপচেপড়া মানুষের ভিড় দেখে সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে সটকে পড়েন রহিমা আক্তার। পরে গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ উদ্দীন ও মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে এ পুরো বিষয়টিকেই গুজব বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানা যায়, উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা আক্তার (৫২)। নিজেকে জিন সাধক ও জিনের রাণী হিসেবে পরিচয় দেন। রহিমা আক্তার শনিবার ঘোষণা দেন, রবিবার প্রতিবেশী আবু সাঈদের লাশ কবর থেকে জীবিত উত্তোলন করা হবে।
কোনাপাড়া গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদ তিন মাস আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মৃত আবু সাঈদের মা ফাতেমা খাতুন বলেন, কবিরাজ রহিমা বলেছে কবরে আমার ছেলে জীবিত আছে। কবর খুঁড়ে তাকে জীবিত তুলে আনা হবে। যদি এ ছেলেকে কবর থেকে তুলে না আনি, আমার ছোট ছেলেও মারা যাবে।
তবে রহিমা আক্তারের ছেলে রুবেল মিয়া বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে মাজারের শিন্নি রানছিলাম। বিষয়ডা আমার বউ ভালাভাবে নেয়নি। হেরপর থেইক্যা আম্মা বাড়ির মইধ্যে উল্টা-পাল্টা শুরু করছে।’
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খবরডা আমিও হুনছি। কিন্তু আম্মারে তো ছোট বইন শরীফা আজগা সকালে বাড়িতে আইয়্যা লইয়্যা গেছেগা। কই গেছে জানিনা।’