রবিবার ভোর ৫টা ২০ মিনিট। চলতি বছরে প্রথম ঝড় আর স্মরণকালের ভয়াবহ শিলাবৃষ্টির সাক্ষী হল নাটোর। ভোররাতে শিলাবৃষ্টির পর নাটোর যেন হয়ে পড়ে বরফের দেশ।
এ দিকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে কৃষকরা দিশেহারা। ধান, পেয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসল রেকর্ড পরিমাণে বিনষ্ট হয়েছে। সবচেয়ে বেশিক্ষতি হয়েছে আমের মুকুলের।
এলাকাবাসীরা জানান, দশ থেকে পনের মিনিটের চলা এই শিলাবৃষ্টিতে আম, লিচু, পিঁয়াজ, কালাই, ভুট্টা ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির টিনের ছাদে, রাস্তা-ঘাটে শিলাবৃষ্টি স্তুপ হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে অনেকের বাড়ির টিন ছিদ্র হয়ে গেছে।
বিশেষ করে নলডাঙ্গা, সিংড়া ও সদর এই তিন উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে বেশী ক্ষতি হয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন কোন স্থানে গুড়ি গুড়ি শিল জমে থাকতে দেখা গেছে। বোরো ধানের পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বোরো চাষীরা। মৌসুমের প্রথম ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের ফলস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঋণ পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
এ দিকে, শিলাবৃষ্টির পর পরই ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য মাঠে কাজ করছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
সিংড়া উপজেলার চৌগ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু জানান, তার বাড়ির চাল ফুটো হয়ে গেছে।
সুকাশ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ জানান, তার ইউনিয়নে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।