Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'সোহরাওয়ার্দীতে আগুন চিকিৎসকের কক্ষে শটসার্কিট থেকে'

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৩১ PM
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বলছে, রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় চিকিৎসকের কক্ষে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগে। পরে ওই আগুন হাসপাতাল ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ছড়িয়ে পড়ে। রোববার বিকেলে কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের কাছে জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে আসাদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন রোববার বিকেলে তার কাছে পৌঁছানো হয়েছে। হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক শটসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি ধারণা করছে। তবে এটিই যে সুনির্দিষ্ট কারণ, তা বলা যাবে না। ফায়ার সার্ভিসের একটি তদন্ত কমিটিও কাজ করছে। তারাও প্রতিবেদন দেবে। এ ছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কমিটি করেছে। সব প্রতিবেদন একসঙ্গে হলে তখন অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. শাহাদৎ হোসেন রিপন এবং মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এএইচএম ফিরোজসহ কয়েকজন চিকিৎসক ও শিক্ষকের কক্ষ রয়েছে। তাদের কক্ষের পাশেই হাসপাতালের স্টোর রুমের অবস্থান। ছুটির পর বৃহস্পতিবার আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে তারা সবাই নিজ নিজ কক্ষে তালা মেরে চলে যান। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অধ্যাপক ডা. শাহাদৎ হোসেন অথবা অধ্যাপক ডা. এএইচএম ফিরোজের কক্ষে শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে এবং এভাবেই প্রথম আগুন লাগে। এরপর ওই আগুন অন্য শিক্ষক ও চিকিৎসকদের কক্ষ এবং স্টোর রুমে ছড়ায়। পর্যায়ক্রমে আগুন দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় কেবিন ব্লক, মহিলা, গাইনি সার্জারি ও শিশু বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই সময় হাসপাতালে এক হাজার ১৭৪ জন রোগী ভর্তি থাকলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত সচিব বাবলু কুমার সাহাকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ৯ সদস্যের একটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে তারা কাজ শুরু করেছেন। এতে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ১২টি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। এ ছাড়া আগুনে ১৫ থেকে ২০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, প্রায় ২শ' বৈদ্যুতিক পাখা, ৫ থেকে ৬টি কম্পিউটার, গজ-ব্যান্ডেজ, ওষুধ, সিরিঞ্জ ও কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের কাজে ব্যবহূত তরল উপাদান পুড়ে গেছে।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডে কম্পিউটার, এসি, বৈদ্যুতিক পাখা, ওষুধ, সিরিঞ্জসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী পুড়ে গেছে। এ ছাড়া কয়েকটি কম্পিউটার চুরির ঘটনাও ঘটেছে।

Bootstrap Image Preview