টাইগারদের টি-টোয়েন্টির ভিত্তি আরও ভালো করার জন্য বিপিএলের পর এবার মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আরো একটি মিনি টি-টোয়েন্টি লিগ। কিন্তু কবে, কখন, কিভাবে, কয়টি দল খেলবে সেটি এখনো পরিস্কার নয় ? কিন্তু এই লিগকে প্র্যাকটিস ম্যাচ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।
টি-টোয়েন্টি লিগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি খেলা জরুরী। আপনি যদি আগে মনে রাখেন, যদিও সেটা দামাল সামাল ফিফটি ওভারসের ম্যাচই হত। তবে আমাদের সবার জন্য দারুণ প্রিপারেশন থাকত। আমরা এটা খেলতাম।'
''টি-টোয়েন্টি খুব শর্ট ফরম্যাটে করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে যদি হয় হবে, প্রিমিয়ার লীগের আগেই হবে। খুব একটা বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে তাও কিন্তু না। তারপরও যেই কয়টা ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে, সবার জন্য একটা প্রিপারেশন, ক্লাব গুলোর জন্যও দেখা, কোচদের জন্য নতুন প্লেয়ারদেরকে দেখার সুযোগ থাকবে। আমার একটা প্রেসক্রিপশন থাকবে বিসিবিকে, যে সবসময় যেন প্রিমিয়ার লীগের আগে যেন করতে পারি, এমন বড় পরিসরে লম্বা সময় নিয়ে, যেন ছেলেরা অ্যাট লিস্ট চার পাঁচটা ইনিংস খেলার সুযোগ পায় পরের বছর থেকে। এই বছর আমাদের ক্যালেন্ডারটা খুব টাইট।
''এই জন্য আমাদের এত কিছু করা সম্ভব না। তবে নেক্সট ঈয়ারে হয়তো বসে আমরা চিন্তা করব। এটা এই জন্য সুবিধা হয়, প্রিমিয়ার লীগের আগে না করলেও বিপিএলের আগে করলে আরেকটু বেটার হবে। যদি এবার দেখেন, আমাদের লোকাল ব্যাটসম্যানরা কিন্তু ওইভাবে কিন্তু পারফর্ম করেনি যেভাবে বড়রা করেছে। এটা আমাদের জন্য ইম্পরট্যান্ট ব্যাপার। এটা সোজাও না। এ ফরম্যাটে এসে আপনি ছয় মারবেন এটা ইজি না। যারা এখানে বিদেশি স্পেশালিস্টরা এসে খেলছে, তাঁরা কিন্তু এই কাজটাই করে। যেমন আন্দ্রে রাসেল বা সুনিল নারাইনের কথা বলেন, তাঁরা কিন্তু টি-টুয়েন্টি স্পেশালিস্ট। সারা বিশ্ব জুড়ে টি-টুয়েন্টি খেলে বেড়াচ্ছে ওরা। সিপিএল, আইপিএল বা পিসিএল। কিন্তু আমাদের ছেলেরা তো মাত্র বিপিএল খেলার সুযোগ পায়, সেটাও হুট করে শুরু হয়। কোনো ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়া খেলে, এখানে পারফর্ম করা ইজি না। এর আগে যদি একটা লোকাল বিপিএল টুর্নামেন্ট থাকে, সারা দেশিয় ছেলেরা খেলবে। তাহলে আমার মনে হয় ছেলেগুলার জন্য সুবিধা হবে। এটা যদি করতে পারি তাহলে ইট উইল বি ভেরি ভেরি নাইস ছেলেদের জন্য। কারণ এই ফরম্যাটে আমরা বিশ্বকাপ খেলছি, এই ফরম্যাটেও গুরুত্ব দেয়া জরুরী।''
কিন্তু ডিপিএলের মাঝে এই ধরনের মিনি টি-টোয়েন্টি কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সেটাও জানিয়ে দিলেন এই সাবেক খেলোয়াড়, না না। এটা প্রিমিয়ার লীগের কথা মাথায় রেখেই টিম করা হচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ইম্পরট্যান্ট না। আমার মনে হয় একটা টিম গুছানোর টুর্নামেন্ট বললেও ভালো হবে। বা গা গরমের টুর্নামেন্ট বা প্র্যাকটিস ম্যাচ। মানে একটা ফরম্যাটে আমরা করতে পারছি। তবে টুর্নামেন্টটা সব দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার কাছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার থেকে প্রিপারেশনটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা তো অনুশীলনের খুব বেশি সুবিধা পাই না, প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারি না। সেই হিসেবে আমার মনে হয় প্রিপারেসন হবে।''