প্রেসিডেন্ট নিকোলাশ মাদুরোর নির্দেশ উপেক্ষা করে ভেনেজুয়েলায় আবারও ত্রাণ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ত্রাণবাহী বেশ কয়েকটি বিমান শনিবার কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কুকুতায় পৌঁছেছে। এসব ত্রাণ ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদোর অনুরোধে পাঠানো হয়েছে বলে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এর আগেও গত ৮ ফ্রেবুয়ারি আমেরিকার পক্ষ থেকে ত্রাণ পাঠানো হয়। তবে নিকোলাস মাদুরোর হস্তক্ষেপে এসব ত্রাণ কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কুকুতায় আটকে আছে।
মাদুরো ট্রাম্পের এসব ত্রাণকে ‘লোক দেখানো’ বলে উল্লেখ করেছেন। এসব ত্রাণ পাঠানোর নামে ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাদুরো। তাই এসব ত্রাণ কোন ভাবেই ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তবে অন্যদিকে বিরোধী নেতা গুয়াইদো আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি এসব ত্রাণ যেকোন প্রকারে ভেনেজুয়েলায় প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, ভেনেজুয়েলার প্রায় ৬ লাখ স্বেচ্ছাসেবী এসব ত্রাণ নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থার (ইউএসএআইডি) ব্যবস্থাপক মার্ক গ্রিন কুকুতায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভেনেজুয়েলায় মানবিক সংকট বিবেচনা করে গুয়াইদোর অনুরোধে এসব ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভেনেজুয়েলার শিশুরা খাদ্য সংকটে পড়ছে এবং দেশটির বেশিরভাগ হাসপাতালেই ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে।
গত এক মাস ধরে ভেনেজুয়েলায় চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এছাড়া দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। খাদ্য সংকটে দেশটির হাজারো মানুষ ইতিমধ্যে অনেক দেশে অবৈধভাবে পাড়ি জমিয়েছে। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক শিশু চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে বলে খবরে বলা হয়েছে।