মৃত্যুর পরে সৎকর্মশীল বান্দারা থকবেন জান্নাতে। আর পাপীদের স্থান হবে জাহান্নামে। জান্নাত এমন একটি জায়গা যেখানে থাকবে অনন্ত সুখ। কী আছে সেই চিরসুখের রাজ্যে? কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে চলে তাদের জন্য জান্নাতসমূহ রয়েছে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হয়, সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী এবং আল্লাহর নিকট হতে সন্তুষ্টি রয়েছে, আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত। (সূরা আলে ইমরান, ৩:১৫)
জান্নাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে যে নিয়ামত দান করবেন এ সম্পর্কে কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, এই দিন জান্নাতবাসীগণ আনন্দে মগ্ন থাকবে, তারা এবং তাদের সঙ্গিনীগণ সুশীতল ছায়ায় সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে থাকবে তাদের জন্য ফলমূল এবং তাদের জন্য বাঞ্ছিত সবকিছু। পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাদেরকে বলা হবে সালাম। (সূরা ইয়াসীন, ৩৬ : ৫৫-৫৯)
আসুন জেনে নেওয়া যাক জান্নাতের নেয়ামতসমূহ কেমন হবে-
১. একজন সর্বনিম্ন জান্নাতীকে এই পৃথিবীর ১০ টি পৃথিবী সমান একটি জান্নাত দেয়া হবে, যার একটি ইট স্বর্ণের অপরটি রৌপ্যের আর গাথুনী হবে মেশক ও আম্বরের!
২. একজন জান্নাতীর জন্য ৭২ জন হুর থাকবে, যাদেরকে কোনো পুরুষ কখনো স্পর্শ করেনি!
৩. তাঁরা তাদের একটি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করলে সূর্যের আলো ম্লান হয়ে যাবে।
৪. ৭০ পাল্লা রেশমী কাপড় তাদের পরিধানে থাকবে,
৫. তারা এমন সুশ্রী হবে যে, ৭০ পাল্লা কাপড় ভেদ করে ও তাদের শরীর দেখা যাবে,
৬. সে তার জান্নাতী স্বামীকে খুব বেশি পরিমানে ভালোবাসা দেবে,
৭, তারা তাদের গালিচায় হেলান দিয়ে জান্নাতীগনের অপেক্ষায় অপেক্ষমান থাকবে!
৯. একজন জান্নাতীর জন্য ৮০ হাজার খাদেম থাকবে।
১০. এক বেলায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার প্লেট খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সবটুকু খেয়ে ফেলবে,
১১. খাবার এতই সুস্বাদু হবে যে, জান্নাতীরা সেই বর্তন পর্যন্ত খেয়ে ফেলবে এবং অনেক পরিচ্ছন্ন ও সুস্বাদু হবে!
১২. জান্নাতে কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে না কারণ, একটি ঢেকুর দেবার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত খানা হজম হয়ে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে।
১৩. প্রত্যেক পশমের গোড়া দিয়ে সেই খাবারের সুঘ্রাণ বের হতে থাকবে!
১৪. জান্নাতী ব্যক্তি যদি উড়ন্ত পাখি দেখে এবং উহার মাংস খাবার ইচ্ছা পোষন হয়, সাথে সাথে তা ভূনা হয়ে তার মুখের সামনে চলে আসবে। মাংস খেয়ে হাড়গুলি ফেলে দিবে এবং ঐ ফেলে দেওয়া হাড় থেকে পূনরায় পাখি জীবন্ত হয়ে উড়ে যাবে!
১৫. জান্নাতীরা হরেক রকম ফল খাবে, প্রতি কামড়ে নূতন নূতন স্বাদ অনুভব করবে। একজন জান্নাতী জান্নাতে যা চাইবে সাথে সাথে তা পেয়ে যাবে!
১৬. জান্নাতের নীচ দিয়ে দুধের নহর, শরাবের নহর, মধুর নহর ও মিষ্টি পানির নহর প্রবাহিত হবে,
১৭. একজন জান্নাতী একত্রে ৪০ মন এক বসাতে খেয়ে ফেলবে!
১৮. জান্নাতবাসী সর্বদাই যুবক থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না। আর এখন থেকে তোমরা সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করবে। কোনোরূপ দুঃখ কষ্ট ভোগ করবে না।