Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এভারেস্টে উঠার বেস ক্যাম্প বন্ধ করল চীন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৯ PM
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৯ PM

bdmorning Image Preview


চীনের যে দিক দিয়ে মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণ করা যায় সেই বেস ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। কর্তৃপক্ষ অস্বাভাবিক এই পদক্ষেপ নিয়েছে কারণ ঐ স্থানে যে পরিমাণ ময়লা আবর্জনা জমেছে সেটা সরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল পর্যটকরা শুধু একটি আশ্রম পর্যন্ত যেতে পারবে যেটা বেস ক্যাম্পের লেবেল থেকে ৫ হাজার দুইশ মিটার নীচে।

বেশিরভাগ মানুষ পর্বতের উত্তরের দিক নেপাল দিয়ে আরোহণ করে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে চীনের দিক থেকে আরোহনের সংখ্যা বাড়ছে।

চীনের যে বেস ক্যাম্প সেটা তিব্বতে অবস্থিত। পর্যটকরা এই পথে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন কারণ এখানে গাড়ি করে যাওয়া যায়। যেখানে নেপালের দিক দিয়ে উঠলে প্রায় দুই সপ্তাহ পায়ে হেঁটে উঠতে হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এই পর্বত বছরের পর বছর ধরে আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। কারণ প্রতিবছর সেখানে যাওয়ার পর্যটকদের সংখ্যাও বাড়ছে।

চীনের মাউন্টেইনারিং অ্যাসোসিয়েশন বলছে ২০১৫ সালে এই বেস ক্যাম্প দিয়ে ৪০ হাজার লোক গেছে।

অন্যদিকে নেপালের বন ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৬-১৭ সালে রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক গেছে যার সংখ্যা ৪৫ হাজার। সাধারণ পর্যটকদের রংবাক আশ্রম পর্যন্ত যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যেটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার ওপরে।

আর যেসব পর্বতারোহীর অনুমতিপত্র আছে তারা সর্বোচ্চ ক্যাম্প যেটা আট হাজার ৮৪৮ মিটার উপরে সে পর্যন্ত যেতে পারবে। জানুয়ারি মাসে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল তারা প্রতিবছর ৩০০ জনকে অনুমতিপত্র দেবে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটা খবর ছড়িয়েছে, তাদের বেস ক্যাম্প স্থায়ীভাবে পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে।
তবে সংবাদসংস্থা সিনহুয়া বলছে এই খবর কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।

তিব্বতের কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গত ডিসেম্বরে এই সংক্রান্ত ঘোষণা আসে। তারা উল্লেখ করেছিল, তিন দফার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর আট টন আবর্জনা পরিষ্কার করতে হয়েছে। যার মধ্যে মনুষ্য বর্জ্য এবং ফেলে যাওয়া নানা যন্ত্রপাতি ছিল।যেসব পর্বতারোহী মারা গেছে তাদের মৃতদেহ অপসারণের কাজ করা হবে এ বছর।

কথিত আছে আট হাজার মিটার ওপরের স্থানকে 'ডেথ জোন' বলা হয় কারণ সেখানে বাতাস এত অল্প যে নিস্বাশ নেওয়া কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং উচ্চতার কারণে এই সব মৃত দেহগুলো বছরের পর বছর কোন কোন সময় যুগের পর যুগ সেখানেই পড়ে থাকে।

Bootstrap Image Preview