বাদ জোহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্কুল মাঠে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদে শেষ জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে মোড়াইলে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১ টায় কবির মরদেহ স্কুল মাঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে সাধারন মানুষ তাকে শেষবারের মত দেখছেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ জোহর এই মাঠেই হবে তার নামাজে জানাযা। পরে মোড়াইলে পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হবে কবিকে।
এর আগে শনিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আল মাহমুদের মরদেহ শহরের নিজ বাড়িতে আনা হয়। এ সময় তার স্বজন শুভাকাঙ্খীরা ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায়।
কবি নিউমোনিয়া বৃহস্পতিবার থেকে বেড়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে নতুন করে প্রেসার কমে যেতে শুরু করে। তবে ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
এরপর রাতে হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তখন হার্ট বিট বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে প্রেসার মেইনটেন হয় না। তখন ব্রেইন, কিডনি অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হলে মানুষ ক্লিনিক্যালি মারা যায়। তারও সেটাই হয়েছে।
সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি।