Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইয়াবা’য় সয়লাব বিশ্বনাথ, উৎস নিয়ে প্রশ্ন

পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৬ PM
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৬ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সিলেটের বিশ্বনাথে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ইয়াবা বিক্রেতা ও সেবনকারীর সংখ্যা। উপজেলা সদর থেকে গ্রামে-গঞ্জে ঘটছে এর বিস্তৃতি। হাত বাড়ালেই মিলছে এই সর্বনাশা ইয়াবা। নতুন করে আসক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তানেরা। মাঝেমধ্যে ইয়াবা সেবনকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের থানা পুলিশ গ্রেফতার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান মূলহোতারা। যার ফলে, মূল হোতাদের গ্রেফতার ও ইয়াবা বেঁচাকেনার হাট চিহিৃতকরণে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন অভিভাবকসহ উপজেলাবাসী। তাদের প্রশ্ন-এত ইয়াবা আসে কোথা থেকে? বেচাকেনার স্পটগুলো বা কোথায়?

জানা গেছে, গত চার মাসে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ও র‌্যাবের পৃথক অভিযানে চারজন ইয়াবা সেবী ও খুচরা বিক্রেতাকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৬৭ পিস ইয়াবা। সর্বশেষ, ১১ ফেব্রুয়ারী সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের নতুন বাজারের ওয়ার্ল্ড মেডিসিন’র স্বত্ত্বাধিকারী আলম হোসেনকে ১২ পিস ইয়াবাসহ আটক করে থানা পুলিশ। সে ইয়াবা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করে থানা পুলিশকে দিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়েই বিশ্বনাথে আসে ইয়াবা। খোদ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশকিছু হাটবাজারে অতি গোপনে চলে বেচাকেনা। ক্রেতাদের বেশিরভাগই উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তান। ইয়াবা আসক্ত অনেক প্রবাসী এটি সেবনের জন্যে দেশে আসেন বলেও জানা যায়।

একটি সূত্র জানায়, বিশ্বনাথের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে ইয়াবার খুচরা বিক্রেতা। তারা নিজেরা সেবনের পাশাপাশি নানা কৌশল অবলম্বন করে অন্যের কাছেও এগুলো বিক্রি করে থাকে। তাদের টার্গেট উঠতি বয়সের তরুণ ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তান। হাতের কাছে পাওয়া যায় বলেই তরুণেরাও সহজে আসক্ত হয়ে পড়ে এই সর্বনাশা ইয়াবায়।

থানা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিশ্বনাথে ইয়াবার বিস্তৃতির সত্যতা স্বীকার জানায়, স্পট চিহিৃত করে মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সচেতন অভিভাবক জানান, এ উপজেলায় যে হারে ইয়াবা বিক্রেতা ও সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে রীতিমত উদ্বিগ্ন আমি। মাঝেমধ্যে ইয়াবার খুচরা বিক্রেতাদেরকে গ্রেফতার করা হলেও তারা আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে আসে। এই ব্যবসার নেপথ্যের মূলহোতাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা না হলে প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় সর্বনাশা ইয়াবা নির্মূল কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ইয়াবাসহ সবধরণের মাদকের বিরুদ্ধে আমরা শূন্য সহনশীল। ইয়াবার ডিলারদেরকে চিহিৃত ও গ্রেফতারে কাজ করছি। যদিও বিশ্বনাথে ইয়াবা বেচাকেনার স্পট খুব একটা নেই। তবুও, যেগুলো আছে, সেগুলো চিহিৃত করে সাড়াশি অভিযান চালানো হবে।

Bootstrap Image Preview