Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইজতেমায় সা’দপন্থীদের ৩১ সদস্যের প্রতিনিধি দল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:০২ PM
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:০২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রথম পর্ব শেষে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে তাবলিগের মূলকেন্দ্র দিল্লির নিজামুদ্দীন মার্কাজের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। নিজামুদ্দীন মার্কাজের প্রবীণ মুরব্বি মাওলানা শামীম আহমদের নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল আজ শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিমানবন্দর সংলগ্ন হজক্যাম্পে পৌঁছায়। নিজামুদ্দীন মার্কাজের প্রধান মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অবর্তমানে তারাই ইজতেমা পরিচালনা করবেন।

মাওলানা শামীম আহমদ ছাড়াও এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন মাওলানা শওকত, মাওলানা ওমর মালিক, মুফতি শেহজাদ, ভাই মুরসালিন ও মাওলানা হাশিম বিন শামীম প্রমুখ। এ ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের তাবলিগি দায়িত্বশীলরা রয়েছেন।

সরকারি পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সাদ কান্ধলভী এবারের ইজতেমায় অংশ নেবেন না। তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর ছেলে মাওলানা ইউসুফ ইবনে সাদ ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন।

তাবলিগের নিজামুদ্দীনপন্থী দায়িত্বশীল সায়েম আহমদ যুগান্তরকে জানান, নিজামুদ্দীনের ৩১ সদস্যের এ প্রতিনিধি দল কলকাতা হয়ে সড়কপথে বাংলাদেশে আসেন। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের বয়ান ও আখেরি মোনাজাত তারাই পরিচালনা করবেন।

তাবলিগ সূত্র আরও জানায়, বিশ্ব ইজতেমার শুরু থেকেই নিজামুদ্দীন মার্কাজের মুরব্বিরা পরিচালনা করেন। কিন্তু তাবলিগ জামাত দুভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় একটি পক্ষ নিজামুদ্দীন মার্কাজ ত্যাগ করে। ইজতেমার প্রথম অংশে নিজামুদ্দীন ছেড়ে যাওয়া দুই শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ইবরাহিম দেওলা ও মাওলানা আহমদ লাট অংশ নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব তাবলিগ এখন দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তাবলিগের মূল মার্কাজ দিল্লির নিজামুদ্দীন মসজিদ থেকে মাওলানা সাদ কান্ধলভী পরিচালনা করেন। মাওলানা সাদবিরোধীরা পাকিস্তান রাইবেন্ড মার্কাজের সহায়তায় আলমি শুরা নামে তাবলিগ পরিচালনা করেন।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে অংশদারিত্বের বিবাদে দিল্লি-লাহোর জড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়েই এর প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশে তাবলিগ জামায়াতের প্রধানকেন্দ্র কাকরাইল মসজিদেও ছড়িয়ে পড়ে এ বিভক্তি।

বাংলাদেশের তাবলিগের মূল মারকাজ কাকরাইল এত দিন দিল্লির নিজামুদ্দীন মার্কাজের অধীনে পরিচালিত হলেও ২০১৮ সালের ইজতেমা থেকে দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। কাকরাইলের শুরা মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা ওমর ফারুকসহ ৫ জন আলমি শুরার পক্ষে রয়েছেন।

অন্যদিকে কাকরাইলের শুরার অন্যতম সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মোশাররফ ও খান শাহাবুদ্দীন নাসিমসহ ৬ জন নিজামুদ্দিন মার্কাজের অনুসরণ করেন।

তাবলিগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়ায় ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা দু’পক্ষ আলাদাভাবে পরিচালনা করছে। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাদ বিরোধীরা অংশ নেয়। ১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সা’দ অনুসারীরা অংশ নেবে।

Bootstrap Image Preview