রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাংবাদিক আব্দুল বাতেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত গোদাগাড়ী আফজি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ক্ষমা চেয়েছেন।
জানা যায়, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসএসসি পরীক্ষা চলমান অবস্থায় গোদাগাড়ীতে কোচিং সেন্টারে স্কুলের শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছে। এ অবস্থায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল সাংবাদিক আব্দুর বাতেন গোদাগাড়ী সদরে অবস্থিত জিনিয়াস কোচিং সেন্টারে যেয়ে দেখেন আফজি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। এ সময় ওই প্রতিবেদক ছবি তুলে নিয়ে আসে। পরে মোবাইল ফোনের মাধম্যে অহেতুক গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয় আমিনুল ইসলাম।
এতে সাংবাদিক আব্দুল বাতেন শুক্রবার রাতে গোদাগাড়ী মডেল থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করে। গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে ঘটনার তদন্ত করার জন্য থানায় ডাকে। এই সময় ওই শিক্ষক গালিগালজ ও প্রাণনাশের বিষয়টি স্বীকার করে ভুল হয়ে গেছে বলে ওসির কাছে জবানবন্দি দেয়। পরে ওসি সাংবাদিক আব্দুল বাতেনকে থানায় ডাকলে নিজের ভূল বুঝতে পেরে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিক আব্দুল বাতেনের কাছে মাফ চায়। এ সময় শিক্ষক বলে আমার বড় ভুল হয়ে গেছে। শিক্ষক হয়ে এভাবে গালি গালাজ দেওয়া আমার ঠিক হইনি। আর জীবনেও এমন ভুল হবে না বলে জানান তিনি।
গোদাগাড়ীতে সরকারের নিষেধাক্তা অমান্য করে বিভিন্ন জায়গায় কোচিং পরিচালনা ও স্কুল শিক্ষক কোচিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত শিক্ষকের বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শিমুল আকতারকে অবগত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই বিষয়ে শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল আকতারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন শীত কালীন খেলাধূলার জন্য রাজশাহীতে আছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।