সুনামগঞ্জে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীর ওপর হামলা ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত সাংবাদিক সাবজল হোসেন বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ৫জনকে আসাসী করে মামলা দায়ের করেছেন।
আজ শনিবার দুপুর ২টায় তাহিরপুর থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলা ও থানা সূত্রে জানান যায়, জেলার তাহিরপুর সীমান্ত সংলগ্ন বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক নিজেকে একাধিক দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কয়লা চোরাচালান, ইয়াবা, মদ ও অস্ত্র ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি করে আসছে। তার চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বলায় গতকাল শুক্রবার রাত ৭টায় আব্দুর রাজ্জাক তার ভাই আব্দুল কদ্দুস, শহিদ মিয়া, ভাতিজা রুবেল মিয়া, সোহাগ মিয়াগং দেশীয় অস্ত্র ও লাটিসুটা দিয়ে নতুনবাজারে সাংবাদিক সাবজল হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে নগদ ৮হাজার ৭শত ৩০টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এলাকাবাসী ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এলাকায় ও থানায় আব্দুর রাজ্জাকের নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে বালিয়াঘাট গ্রামের গৃহবধু নাজমা বেগম চাঁদা না দেওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক তার বাহিনী নিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করাসহ শারীরিক নির্যাতন করে। এ ঘটনায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে গত ৮ মে ২০১১ আদালতে আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই আব্দুল কদ্দুসসহ মোট ১৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাই আব্দুল কুদ্দুস সোর্স কালাম মিয়া, জানু মিয়া, ল্যাংড়া বাবুল ও জিয়াউর রহমান জিয়াকে নিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে নৌকা বোঝাই করার সময় আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে বিজিবি। সে ঘটনায় বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই আব্দুল কুদ্দুস ও সোর্সদের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। বর্তমান মামলাটি চলমান রয়েছে।
এছাড়া রাজ্জাক তার পাশের গ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের এক নারীকে বিয়ে করে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে ছেড়ে দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে।
দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে জানতে পেরেছি, এ ব্যাপারে শীগ্রই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।