Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুবর্ণচরে থানার ব্যারাকে সিলিং ফেনে ওড়না পেঁচিয়ে নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৯ PM
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নোয়াখালী সুবর্ণচরে চর জব্বর থানার পাশের ব্যারাকে শিপ্রারাণী দাস (২৪) নামে এক নারী কনস্টেবল পুলিশ সিলিং ফেনে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ নারী পুলিশ আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সহকর্মী আত্মহত্যার ৩ ঘণ্টা পর ব্যারাকের অপর নারী কনস্টেবল থানা থেকে এসে দরজা খুলে ঢুকে ফেনের সঙ্গে শিপ্রারাণী দাসকে ঝুলন্ত দেখে ওসিকে জানান। ওসিসহ অপর পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন।

সূত্রে আরও জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে কনস্টেবল শিপ্রারাণী দাস আত্মহত্যা করেছেন। শিপ্রারাণী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার ফুলতলা গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল রাজিবের স্ত্রী। রাজিব চাঁদপুর থানায় কর্মরত।

শিপ্রারাণী দাসের আত্মহত্যার খবরে পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোহাম্মদ জনিসহ (সদর সার্কেল) অপর পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

থানা সূত্র জানায়, কনস্টেবল শিপ্রারাণী দাস গত ৩-৪ বছর আগে একাই চর জব্বর থানায় যোগদান করেন।

শিপ্রারাণী দাসসহ ৫ জন নারী পুলিশ কনস্টেবল থানার পাশের ব্যারাকে থাকতেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় ব্যারাকের ওই কক্ষের অপর নারী কনস্টেবলদের থানায় যেতে অনুরোধ করে শিপ্রারাণী দাস ব্যারাকে একাই থেকে যান। সবাই চলে গেলে শিপ্রারাণী দাস সিলিং ফেনের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। দুপুর দেড়টায় থানার ডিউটি অফিসার কনস্টেবল শিপ্রারাণী দাসকে থানায় আসতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলে রিসিভ না করায় সন্দেহ হয়। এতে তিনি অপর নারী কনস্টেবলদের ব্যারাকে পাঠান। তারা এসে জানালা দিয়ে দেখতে পান শিপ্রারাণী দাস ফেনের সঙ্গে ঝুলে আছেন। এ সময় তারা ওসিকে জানান। খবর পেয়ে ওসিসহ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে লাশ নিচে নামান।

এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ (সদর সার্কেল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। থানায় জিডি করে কনস্টেবলের লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহেদ উদ্দিন জানান, থানা কোয়াটারের ওই কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচজন নারী পুলিশ থাকতো, তাদের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছে। দুপুরে অপর তিনজন খাবার আনার জন্য কক্ষের বাহিরে গেলে শিপ্রা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে আমরা নামাজ শেষ করে ফিরে আসলে অন্য নারী পুলিশ সদস্যরা দরজা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানালে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) হাসান মোহাম্মদ জনি জানান, চর জব্বর থানার নারী কনস্টেবল শিপ্রারাণী দাসের সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক কলহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে।

জানা যায়, ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকার রাজিবের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১০জুলাই তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। রাজিব বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন।

Bootstrap Image Preview