সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অনেক দেশে বৈধতা পেয়েছে গাঁজা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে কানাডা, নেদারল্যান্ডস,অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে, ইসরায়েলে। এর মধ্যে সর্বশেষ কানাডায় ও যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্যে গাঁজা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর থেকেই গাঁজা মেশানো বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন মনযোগী হচ্ছে দেশগুলো।
বর্তমান সময়ে গাঁজা বৈধ হওয়ার পর থেকেই অনেকে প্রবল উৎসাহ নিয়ে গাঁজা মেশানো খাবার ও পানীয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বর্তমানে গাঁজা মেশানো পাই, পিৎজা পাওয়া যায় বটে, কিন্তু গাঁজা মেশানো পানীয় তৈরি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলো কোম্পানিগুলো। গাঁজা মেশানো পানীয় তৈরির প্রথম সমস্যাটি হলো, গাঁজা পানির সাথে মেশে না। ফলে তা শরীরে শোষণ হয়ে প্রভাব ফেলতে বেশ সময় লাগে।
এই সমস্যা সমাধানে টু রুটস ব্রিউয়িং ‘ন্যানো-ইমালসিফিকেশন’ পদ্ধতি ব্যবহার করে। এতে গাঁজা পানীয়তে সমানভাবে ছড়িয়ে যায় ও শরীরে শোষিত হতে পারে সহজে। অন্যান্য কোম্পানিও বিভিন্ন নতুন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে গাঁজার পানীয় তৈরির চেষ্টা করছে।
যেসব রাজ্যে গাঁজা বৈধ করা হচ্ছে, সেখানে কমে আসছে অ্যালকোহল বিক্রয়ের পরিমাণ। এর জায়গা নিতে পারে গাঁজার এই বিয়ার।
এ ব্যাপারে আইএফএলসায়েন্স-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ধারণা নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের এক বিয়ার কোম্পানি তৈরি করেছে গাঁজা মেশানো বিয়ার। তবে সাধারণত অন্যান্য বিয়ারে অ্যালকোহল থাকে। এতে অ্যালকোহল থাকবে না।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার বিয়ার কোম্পানি ‘টু রুটস ব্রিউয়িং’ প্রকাশ করেছে তাদের ‘পৃথিবীর প্রথম গাঁজা-মেশানো, অ্যালকোহলমুক্ত ক্রাফট ক্যানাবিয়ার’। এই পানীয় পান করার ১০ মিনিটের মাঝে গাঁজার নেশা চেপে ধরবে ও প্রায় ৯০ মিনিট তার রেশ থেকে যাবে।
ক্যানাকর্ড জেনুইটি গ্রুপের গবেষকদের হিসাব মতে, ২০২২ সাল নাগাদ শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই গাঁজা মেশানো পানীয়ের ব্যবসা হবে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের। অনেক কোম্পানিই প্রচুর টাকা ঢালছে গাঁজা মেশানো পণ্যের পেছনে।