বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বন্ধুর বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। নিহত ওই ছাত্রের নাম নাম রুবেল মিয়া (২০)। রুবেল বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইংরেজি বিভাগের (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় বখাটের হামলায় নাঈমুর রহমান ওরফে মিতু নামে তাঁর (রুবেল) এক বন্ধু গুরুতর আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, নগরীর মল্লিক রোডের বাসিন্দা নেছার আলীর মেয়ে সাওদার সঙ্গে দুবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মেহেদী হাসান রনি এবং দুবারই তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকেই রনি নানাভাবে সাওদাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। উত্ত্যক্তের ঘটনায় থানায় জিডিও দায়ের করে সাওদা। এরপর বিষয়টি সাওদা তার ছোট ভাই রাফসানকে জানান।
বৃহস্পতিবার বিকালে সাওদা, তার ভাই রাফসান, রাফসানের বন্ধু রুবেল ও মিতুলসহ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে আসে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান রনি ছুরি নিয়ে এসে সাওদার ওপর হামলা চালাতে যায়। এ সময় রুবেল বাধা দেয়। এতে ছুরিটি রুবেলের বুকে লাগে। পাশাপাশি রুবেলের বন্ধু মিতুলকেও জখম করে রনি।
এ সময় আশপাশে থাকা লোকজন রনিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এবং রুবেল ও মিতুলকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরিশাল মহানগরীর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘রনি বখাটে হওয়ায় সাওদা তাকে তালাক দেয়। পরে দ্বিতীয়বার তাদের মধ্যে সম্পর্ক হলেও রনি ভালো হয়নি। ফলে রনিকে দ্বিতীয়বার আবার তালাক দেয় সাওদা। এর পরেও রনি তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
ওসি বলেন, রাতে রনিকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু উদ্যানে যায় রাফসান ও তার বন্ধুরা। সেখানে হাজার হাজার লোকের মধ্যে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন বঙ্গবন্ধু উদ্যানের মঞ্চের পাশে রনি চাকু দিয়ে রাফসান, তার বন্ধু রুবেল ও মিতুলকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। এর মধ্যে রুবেলের জখম গুরুতর হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।