ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে আত্মঘাটি বোমা হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, সেনা সিদ্ধান্ত নিক, কবে, কোথায় কিভাবে হামলা চালানো হবে। পুর্ন ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে আয়োজিত এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এ বার্তা দেন মোদী।
পাকিস্তানের মদতেই হামলা হয়েছে। প্রত্যাঘাতের বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, 'সন্ত্রাসবাদীদের এবং তাদের মদতদাতাদের আমি বলতে চাই, তারা খুব বড় ভুল করে ফেলেছে। এর জন্য তাদের খুব চড়া মূল্য দিতে হবে।'
এদিকে বৃহস্পতিবারই হামলার দায় স্বীকার করেছিল জইশ-ই-মহম্মদ। আর জইশ যে পাক মদতপুষ্ট সংগঠন, জইশ-প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বাঁচাতে যে পাকিস্তান সব সময় তৎপর, তা কারও অজানা নয়। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার আর কোনও রাখঢাক করেননি।
পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবার হওয়া ভয়ঙ্কর হামলার ছবি গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহলের সামনে আরও কোণঠাসা করতে তৎপর হয়েছে ভারত সরকার। এত দিন পর্যন্ত পাকিস্তানকে ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’-এর মর্যাদা দিয়ে রেখেছিল ভারত। দেশের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ দিন সকালেই ঘোষণা করেছেন যে, পাকিস্তানের ওই বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হল। এত দিন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে যে সব সুবিধা পেত পাকিস্তান, ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ তকমা চলে যাওয়ায় এক ধাক্কায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই সুবিধা হারাতে যাচ্ছে দেশটি।
পাকিস্তানের উপর সারাসরি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ যদি ভাবে তারা এ ভাবে ভারতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে, তাহলে তারা ভুল করবে।’
তিনি আরো বলেন, পাকিস্তান যে রাস্তা বেছে নিয়েছে, সেই রাস্তাই আজ পাকিস্তানকে চরম বেহাল দশায় নিয়ে গিয়েছে। অবস্থা এতটাই বেহাল যে ‘ভিক্ষাপাত্র’ নিয়ে গোটা বিশ্বের সামনে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে, তবু সহজে সাহায্য মিলছে না।
পুলওয়ামায় হামলার ‘উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে ইয়ল্লেখগ করে তিনি বলেন, ‘আমি জানি যে, দেশের মানুষের রক্ত এখন ফুটছে। তাই সেনাকে অবাধ ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাল্টা আঘাত কবে করা হবে, কী ভাবে করা হবে এবং কোথায় করা হবে, সে বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে।