Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নির্বাচনে নৌকা হারলেও বিএনপির লাভটা কী?: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৩৭ PM
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৪:৪২ PM

bdmorning Image Preview


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের অন্তঃকলহ বাড়বে, তাতে বিএনপির লাভটা কী? রেজাল্ট কি তাদের পক্ষে আসবে? যদি নৌকার প্রার্থী না জেতে, তাহলে বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতবে। সেও তো আওয়ামী লীগের। তাতে বিএনপির লাভ কী?

শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দল হিসেবে বিএনপি ‘এলোমেলো অবস্থায়’ আছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত নিলেও দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তা মানবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, প্রার্থী হওয়ার আগে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে আমি কাউকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলতে পারি না। আমরা দেখছি কারা কারা নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার পরও বিদ্রোহ করে। এমন কেউ করলে বিষয়টি আমরা দেখব। এর জন্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তি আজ। এ দিনে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি নেই কেন এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মেমোরি এত শর্ট না। মানুষ মনে রেখেছে। তারা (বিএনপি) যখন নির্বাচনে জালিয়াতি আর কারচুপির কথা বলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলে, তখন তারা ভুলে যায় যে তারাও এ দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতির নির্বাচন করেছে।

তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো প্রহসনমূলক নির্বাচন আর বাংলাদেশে হয়নি। কাজেই ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করার কলঙ্কে যারা কলঙ্কিত, তাদের মুখে কোনো নির্বাচনের শুচিতা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি উচিত?

নির্বাচনী ট্রাইবু্নালে বিএনপির মামলা করার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর, এ বিষয়ের দায়টা বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা এখন আদালতে গিয়ে মোকাবিলা করবে, আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। এটাই নিয়ম। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা।

Bootstrap Image Preview