একমাত্র কৃষি কাজেই এখন নির্ভরশীল হয়ে পরেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠিদের জীবন। ছেলে-মেয়েদের ভরণপোষণ আর পরিবারের অতিরিক্ত অভাব অনোটন মেটাতে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও সংসারের হাল ধরতে হয় এই সম্প্রদায়ের রীতি অনুসারে। মৌসুম ছাড়া কৃষি কাজ না হওয়াতে রিক্সা-ভ্যানগাড়ী চালাতে কেউ কেউ পারি দেয় ঢাকা শহরে।
একারণেই বাঁশের কাঠি, কাঁশফুল দিয়ে তৈরী ঝাঁড় ও খেজুর পাতার তৈরী পাটি বিক্রি করে চলে উপজেলার কুসুম্বা ইউপির সাড়ারপাড়, খাড়িপাড়া, পাঠরঘাটা ও কয়েশকুল সহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ক্ষুদ্র আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠিদের সংসার। সে কারনেই প্রাকৃতিক ভাবে হওয়া নদীর দুই ধারে কাঁশফুল সংগ্রহ করে ঝাঁড় তৈরী করে হাট-বাজারে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দ্বরে বিক্রি করে পরিবারের বারতি খরচ যোগান তাঁরা।
এছাড়াও মৌসুম অনুযায়ী শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়াতে কৃষি কাজে পুরুষদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের মহিলাদের চাহিদাও বেশ চোখে পরার মত। তাছাড়া জমিতে বীজ রোপণ, ধান কর্তন, ধান ক্ষেতের ঘাঁষ পরিষ্কারসহ কোন কাজেই যেন কমতি নেই পুরুষদের সঙ্গে। উপজেলায় প্রায় কয়েক হাজার আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ের সংখ্যা রয়েছে।