Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সোহরাওয়ার্দীর আগুন নিয়ে ধোঁয়াশা স্পষ্ট করলেন মন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৯ PM
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


গতকাল সন্ধ্যার আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। পরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, হাসপাতালের আগুনের সূত্রপাত হাসপাতালের নিচতলার ওষুধের স্টোরেজে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের শিশু ও গাইনি ওয়ার্ডে অর্থাৎ দোতলা ও তিনতলায় আগুন পৌঁছায়নি, শুধুমাত্র ধোঁয়া ছড়িয়েছে। নিচের আগুনের ধোঁয়াকেই আগুন মনে করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ কারণে উদ্ধারকার্যে সফলতা এসেছে।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে একই সংবাদ সম্মেলনে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আগুনের সূত্রপাত তিনতলায় শিশু ওয়ার্ডে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেছিলেন, আগুনের সূত্রপাত নিচতলায় ওষুধের স্টোরেজে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনের সংবাদ সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। 

শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বক্তব্য দুটি সাংঘর্ষিক নয়। কারণ শিশু ওয়ার্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা আগুন সেখানে দেখেছিলো বলে জানিয়েছেন আমাদের। তাই আমরা সেটা জানিয়েছিলাম। আবার ফায়ারের ডিজি আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে দেখেছেন সূত্রপাত স্টোরেজে। এখন বাকিটা তদন্তের পর জানা যাবে। ৭ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সর্বমোট ১২০০ রোগী ছিলো। যাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ সময় কোনো হতাহতের কিংবা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কোনো শিশু মত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সেটা ঘটলেও অন্য হাসপাতালে ঘটেছে।

হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ড বাদে বাকিগুলো চালু হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে মোট ১৬টি ওয়ার্ড আছে। এর মধ্যে পুড়ে ধংস হয়ে যাওয়া দুটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ওয়ার্ডগুলো গতকাল রাতে চালু করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডগুলো দ্রুত মেরামত করে চালু করা হবে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আগুনের ঘটনা আমাদের জন্য একটি শিক্ষা উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের অনেক হাসপাতাল ভবনগুলো পুরনো হয়ে গেছে। এগুলোর দ্রুত মেরামত করা হবে। ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা আরো আধুনিকীকরণ করা হবে। দেশের সকল হাসপাতালে বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো পুনরায় চেকিং করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার বিষয়ে অবগত আছেন। তিনি প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাড়ে পাঁচটায় আগুন ধরার পর সাড়ে ছয়টার মধ্যে ধাপে ধাপে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাই ব্যাপক সহায়তা করেছেন। না হলে এ সফলতা আসকো না। সংসদ অধিবেশন শেষ করে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলাম, আগুন নেভানো পর্যন্ত ছিলাম।

Bootstrap Image Preview