Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সু চিকে সরাতে এক বিরোধী দলগুলো

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১৫ PM
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০১:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মিয়ানমারে আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক জোটের আবির্ভাব হয়েছে। নতুন জোট ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পুনরায় সংখ্যাগিষ্ঠতা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে উঠতে পারে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে।

রাখাইনসহ বিভিন্ন এলাকায় জাতিগত সংঘর্ষ ও অর্থনৈতিক মন্থর গতির জন্য সু চির রাজনৈতিক অবস্থান এখন দুর্বল। এ জন্য সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতাদের দোষারোপ করা হয়। নভেম্বরের উপনির্বাচনে দলটি ১৩টি আসনের মধ্যে মাত্র সাতটি আসনে জয়লাভ করে। বাকি আসনগুলোতে জয় পায় সেনা সমর্থিত দল ও আঞ্চলিক দলের প্রার্থীরা বাকিগুলোতে জয়লাভ করেছিলেন।

 

রাখাইন, শানসহ অন্যান্য প্রদেশের জাতিনিধন সংঘাত এবং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে এই মুহূর্তে জনগণের কাছে সু চির দলের যে অজনপ্রিয়তা সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছে বিরোধী পক্ষ ও দলগুলো। নভেম্বরের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের তুলনামূলক খারাপ ফলাফলও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে আশাবাদী করে তুলেছে। বসে নেই সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিও (এনএলডি)। আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

সু চির দলের জন্য যারা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে তাদের মধ্যে ইউনিয়ন বেটারমেন্ট পার্টি অন্যতম। সেনাঘনিষ্ঠ ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাবেক প্রধান শ মান এ দলটি গড়ে তুলেছেন। মিয়ানমারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সাবেক স্পিকার মান ২০১৫ সালে জান্তাঘনিষ্ঠ দলটি থেকে পদচ্যুত হয়েছিলেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে সু চির মিত্রতা দেখা গেলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার ইউনিয়ন বেটারমেন্ট পার্টি ক্ষমতাসীনদের অন্যতম বড় সমালোচক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

এনএলডির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাজির হতে পারে কো কো গির পিপলস পার্টিও। ১৯৮৮ সালে তৎকালীন জান্তা শাসনের বিরুদ্ধে হওয়া ছাত্র বিক্ষোভের অন্যতম নেতা কো কো অন্যান্য জাতিগত দলের সঙ্গে জোট গড়ে তোলারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এককভাবে না জিততে পারলেও পার্লামেন্টে জোট হিসেবে থাকতে পারি। সেখানে আমরা একসঙ্গে থাকব এবং আমাদের ভোট যেন দ্বিধাবিভক্ত না হয় সেজন্য চেষ্টা চালাব।’

২০১৫-র নির্বাচনে রাখাইনে ভালো ফল করা আরাকান ন্যাশনাল পার্টিও ক্ষমতাসীনদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো না দেয়ায় এ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও তুমুল ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। ‘আমরা, বিভিন্ন জাতির মানুষ, আমরা দেখেছি আমাদের তারা কেমন মূল্য দেয়। ২০২০-এর মতো এবার আর ভূমিধস বিজয় পাচ্ছে না তারা’ বলেছেন রাখাইনে সমানাধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান থাজিন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অং থান।

এদিকে মিয়ানমারের সংঘাতকবলিত রাখাইন প্রদেশের উত্তর রাখাইনে সদর দফতর স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন গোষ্ঠীটির প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং।

Bootstrap Image Preview