শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক ২৫০ রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এ কে এম নাসির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ঢামেক সবসময়ই চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারীদের সেবা দিতে প্রস্তুত থাকে।শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যদিও সবার আন্তরিক চেষ্টায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে ঘটনার শুরুতেই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মেসেজ আসে, প্রস্তুত থাকুন। রোগী আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। যেখানে একই ছাদের নিচের সব ধরনের সেবা দেওয়া হয়। সোহরাওয়ার্দীর রোগীরা দ্রুত আমাদের এখানে এসে সেই ওয়ান স্টপ সার্ভিস পেয়েছেন। আনুমানিক আড়াইশ সেবাপ্রার্থী এই সেবা পেয়েছেন।’
ডা. এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, রোগীদের মধ্যে দুই একজনকে জরুরি ও দ্রুত সেবা দিতে পারায় তাদের লাইফ সেভ করা গেছে। একজনকে জরুরি বিভাগেই আইসিইউ সেবা দেওয়া হয়েছে। আরো কয়েকজন বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে জরুরি বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, শিক্ষানবীশ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তাদের সহায়তা করছেন অন্যান্যরা, মেডিকেল রিপোর্টাররাও সহায়তা করছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর ১৬টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে।
আগুন লাগার পর রোগী ও তার স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইসিইউ ও মুমূর্ষু রোগীদের আশপাশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্থানান্তরিত করা হয়। সাধারণ রোগীদের বের করে আনা হয় হাসপাতালের সামনের মাঠে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।