স্কুলের শিশুরা সচেতন হয়ে নিয়মিত হাইজিন মেনে টিফিনের খাবার গ্রহণ করলে অপুষ্টি ও অপুষ্টিজনিত রোগ থেকে দূরে থাকবে। এ অনুশীলনের ফলে পুষ্টি ও হাইজিন সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়িয়ে পড়বে তাদের পরিবারগুলোতেও বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত আগারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্ট্যান্ড এগেইনস্ট ম্যালনিউট্রিশন আয়োজিত ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে উপস্থিত বক্তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর টিফিনের খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণসহ নানা দিক উপস্থাপন করেন আয়োজনকারীরা। স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবক আয়োজক সহ শতাধিক অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহন করেন। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য, পুষ্টি চাহিদা, দেহের ওজনসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং এ সংক্রান্ত পুষ্টি সহায়িকা ও পুষ্টি উন্নতি চক্র সম্পর্কিত পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।
এতে উপস্থিত শিক্ষক ও অভিভাবকগণ বলেন, এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্কুলের শিশুরা তাদের টিফিনে যে খাবার খায় তা পুষ্টিসমৃদ্ধ কি-না, সে সম্পর্কে তারা যদি সচেতন হয় তাহলে তাদের কাছ থেকে তাদের পরিবারের অন্য সদস্য এবং বন্ধুরাও তা জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্কুলের শিক্ষক নাজিয়া পারভিন। তিনি পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এ কার্যক্রমের প্রশংসা করে স্কুলের শিশুদের নিয়মিত হাইজিন মেনে এ ধরনের সচেতনতা অপুষ্টি দূরীকরণ ও অপুষ্টিজনিত রোগসমূহ প্রতিরোধে শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্ট্যান্ড এগেইনস্ট ম্যালনিউট্রিশন ক্যাম্পেইনের দলনেতা মেহেদী হাসান বাপ্পী তার বক্তব্য বলেন, সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে শিশুদের মাঝে পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শৈশব ও কৈশোরের সঠিক শারীরিক পুষ্টি ও বিকাশই করতে পারে তার ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত রচনা। তাই পুষ্টি বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এই ক্যাম্পেইন করছি।
ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স-এর খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পুষ্টি বিষয়ক জ্ঞান সবার জন্য সহজলভ্য করতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘একটিভ সিটিজেনস’ প্রকল্পের অধীনে যুব স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচালনায় ‘স্ট্যান্ড এগেইনস্ট ম্যালনিউট্রিশন’ নামক সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। শেষে আলোচিত বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়।