পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আপেল মাহমুদকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক পঞ্চগড়-তেতুলিয়া মহাসড়কের তেতুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। পরে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক নেতারা জানান, জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের অবস্থা জানতে যান। এ সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামও তার সঙ্গে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বের হলে কয়েকজন যুবক তাদের উপর হামলা করে। এ সময় আপেল মাহমুদের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলামকেও মারপিট করে তারা।
মো. আপেল মাহমুদ বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী একজন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা অতর্কিত আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা আমাদের বেদম মারপিট করে এবং পাঞ্জাবি, শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। আমি প্রার্থী হয়েছি এবং জয়লাভ করবো বলে আমাকে মারপিট করেছে তারা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
পঞ্চগড় মোটর ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে তাৎক্ষণিক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে আবারও অবরোধ করা হবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় পর্যায়ে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করা হবে।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে আমরা নিচে নেমেছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে আমাদের মারপিট শুরু করে। তারা আমাকেও মারপিট করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।