হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সরকারি নিয়ম-নীতি ও প্রচলিত বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির উপর ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটা। আর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ।
যার ফলে উজার হচ্ছে গ্রামসহ বিভিন্ন বনাঞ্চলের বৃক্ষ।ভাটার চারপাশে রয়েছে আবাদি ফসল ও অসংখ্য ঘরবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সরকারি নীতিমালায় রয়েছে, আবাদি জমি ও বসতবাড়ি থেকে এক কি. মি. পরে ইটভাটার অবস্থান হতে হবে। কিন্তু সে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বে-আইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ভাটাগুলো।
স্থানীয়রা অনেকেই জানান, ইটেরভাটা নির্মাণের ফলে তাদের ফসলি জমি, বনজ ও ফলদ বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভাটার পাশ্ববর্তী জমিতে প্রচন্ড উত্তাপের কারণে আগের মতো ফসল উৎপাদন হচ্ছে না। ফলের গাছ ও ফসলি জমিগুলোতে এখন আর আগের মত ফসল হয় না। ফলে খাদ্য সংকটে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে।
এজন্য বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ইকবাল ২টি ইটভাটাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
জরিমানা প্রদানকৃত ইট ভাটা দুইটি হল- উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের কালাপুর এলাকায় দি সান বিকস ও মিতালী ব্রীক।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমোদন না থাকায় ব্রিক ফিল্ড কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত ব্রিক ফিল্ড বন্ধ করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন ইকবাল বলেন, জ্বালানী কাঠ পোড়ানো, ইট পোড়ানো লাইসেন্স ও পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতিরেকে ইটভাটা পরিচালনার কারণে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন- ২০১৩ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অবৈধভাবে কেউ কোন ইটভাটা চালাতে পারবে না। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।