Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চপলের প্রার্থীতা বাতিল, দেয়া হলো মোবারককে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫২ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৫২ PM

bdmorning Image Preview


নানা সমালোচনার মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে অবশেষে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থীতায় পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ।

প্রথমধাপে অনুষ্ঠিতব্য সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে খায়রুল হুদা চপলকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলেও তার প্রার্থীতা পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনকে নতুন করে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনকে নতুন করে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সহোদর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, সুনামগঞ্জ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টির সভাপতি খায়রুলর হুদা চপলকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

হাওরের বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত থাকাবস্থায় চপলকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় নানামুখী সমালোচনা শুরু হয়।

এ নিয়ে সমালোচনার মুখে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই উপজেলায় প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্তেরর কথা জানায় আওয়ামী লীগ।

প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা চপল ও মোবারকসহ চার জনের নাম কেন্দ্রের কাছে জমা দিয়েছিলাম। প্রথমে চপলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, পরবর্তীতে বুধবার মনোনয়ন পুনঃবিবেচনা ও বিভিন্ন দিক যাচাই বাচাইকালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা চপলকে বাদ দিয়ে মোবারককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত মেনে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মোবারকের সাথে আছি।'

এ দিকে, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা রিটানিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন খায়রুল হুদা চপল। একইসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মনিষ কান্তি দে মিন্টুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ, ২০১৭ সালে হাওরের বাঁধ নির্মাাণে দুর্নীতি অনিয়মের কারণে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় হাওরের কয়েক হাজার কোটি টাকার বোরো ফসল। এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৫ কর্মকর্তা ও বাঁধের কাজের ৪৬ জন ঠিকাদারকে আসামি করা হয়। এই ঠিকাদারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল।

মামলা দায়েরের পর ওই বছরের ১৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর যাবার চেষ্টা করলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় তিন মাস কারাভোগের পর ওই বছরের নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

Bootstrap Image Preview