পঞ্চম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলার মধ্যে ১৮টি উপজেলায় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। তারা সবাই দলটির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। ইতোমধ্যে প্রায় সবাই মনোনয়ন পত্রও জমা দিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের পরেও স্থানীয় নেতাদের এমন আচরণে বিতর্ক উঠেছে অনেক ।
এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছিলেন, বিএনপির অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন বলে তাঁদের কাছে খবর আছে। তাঁর ইঙ্গিত সত্যি করে দল ও জোটের সিদ্ধান্ত না মেনে কিছু নেতা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিএনপি।
এই বিষয়ে প্রথম আলোর কাছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কাছে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন আসার পর বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রতিবেদনটিতে দেয়া তথ্য মতে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, নাটোর সদর, রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও পুঠিয়া, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুর, নেত্রকোনার পূর্বধলা এবং পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদে প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ১০ মার্চ। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।