Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইজতেমায় তাবলীগ জামায়াতকে প্রশাসনের ১০ শর্ত

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৫০ PM
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৫০ PM

bdmorning Image Preview


আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এবারের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে তাবলীগ জামায়াতের মুরব্বিদের ১০টি শর্ত বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন। এবারই প্রথম দুই গ্রুপের চারদিনের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে, তাই প্রথম গ্রুপকে আখেরি মোনাজাতের ৬ ঘন্টার মধ্যে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য।

১৫ ফেব্রুয়ারি কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা শুরু করে ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার আখেরি মোনাজাত করে ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করবেন। পরে দিল্লী মারকাযের মুরব্বি মাওয়ালানা সা'দ অনুসারীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে দুই দিনের ইজতেমা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়াও মাঠ ছাড়ার সময় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেয়াসহ, মাঠের যাবতীয় সরঞ্জামাদির দায়িত্ব প্রশাসনের হাতেই থাকছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘মধ্যবর্তী সময়ে যেন দু’পক্ষের মধ্যে ব্যবস্থাপনার সংকট তৈরি না হয়, এর জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি আছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ইজতেমাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষে থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রায় ৫০০ সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি মাঠের চারপাশে থাকছে ১৭ টি ওয়াচ টাওয়ার।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১২৩টি ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থা করেছি। বিআরটিসির জন্য ৪০০ বাসের ব্যবস্থা করেছি। সিসি ক্যামেরা ৫০ এর জায়গায় ৩০০ করা হয়েছে। আশা করা যায়, সব রকমের সমস্যা আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।’ আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার।

 শর্তগুলো হলো-

১. আগামী ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা শুরু করে ১৬ ফেব্রুয়ারি মাগরিবের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ করে চলে যাবেন।

২. মাওলানা সা’দ অনুসারীগণ ১৭ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবেন এবং ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি সা’দপন্থী ওয়াসিফুল ইসলাম অনুসারীগণ ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করে তাদের দুইদিনের ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

৩. মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা বুধবার থেকে ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতি কাজ শুরু করবেন।

৪. মাওলানা জোবায়ের পন্থীরা ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব আখেরি মোনাজাত শেষ করে মাঠ ছেড়ে চলে যাবেন।

৫. জোবায়ের পন্থী লোকজন প্রশাসনের উপস্থিতিতে সা’দ পন্থীদের কাছে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন।

৬. দুই পক্ষের ইজতেমা শেষে ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি কাজে লাগানো সরঞ্জামাদীর বিষয়ে দুই পক্ষের মুরুব্বীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

৭. ইজতেমা শেষে ময়দানে মুসল্লিদের ব্যক্তিগত মালছামানা ছাড়া বাকি সকল মালামাল স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে।

৮. মাওলানা জোবায়ের অনুসারী বিদেশি মেহমানরা দুইদিন ইজতেমা শেষে উত্তরা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন।

৯. স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সা’দ বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন না।

১০. ইজতেমা চলাকালীন উভয় পক্ষের তাবলীগ অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গীর আশপাশ এলাকার মসজিদে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন। 

Bootstrap Image Preview