১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ দিনটিকে বিশ্ব ব্যাপী ভালবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভালোবাসা দিবস মানেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের দিন। ভালোবাসার মানুষগুলোর সঙ্গে সময় কাটিয়ে ও বিশেষ উপহার আদান প্রদান করার মাধ্যমেই কাটিয়ে দেয়া হয় দিনটি। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে কী উপহার দেবেন তা নিয়ে পড়তে হয় নানান দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
তবে মনে রাখবেন, এই দিনে বিভিন্ন উপহারে ঘটতে পারে ব্রেকআপ। তাই বুঝে শুনেই উপহার সিলেকশন করা উচিত। দেখে নেয়া যাক ভালবাসা দিবসে প্রিয়জনকে কী উপহার দেয়া উচিত আর যেসব উপহার না দেয়াই ভাল।
১. ভালবাসা দিবসে অনেকেই বন্ধুরা সবাই মিলে একসঙ্গে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার কথা অনেক মানুষকে না জানানোই ভাল। কারণ এই দিনটিকে শুধু দু’জনের জন্যই রাখলে ভাল।
২. ব্যস্ত এই দুনিয়ায় প্রিয়জনকে না জানিয়ে ছুটি কাটানোর বিশেষ পরিকল্পনা থাকাই শ্রেয়। কারণ আগে পরিকল্পনার কথা বলে পরে ছুটি না পেলে স্বাভাবিকভাবে আপনার উপর রেগে যাবে।
৩. পছন্দের মানুষটির রুচিবোধ সম্পর্কে না জেনে কোনো রকম গয়না বা জাঙ্ক জুয়েলারি না কেনাই ভাল।
৪. ভালবাসার মানুষকে ধরুন দারুণ একটা চকোলেটের বাক্স উপহার দিলেন, কিন্তু তাতে কোনো চকোলেট নেই! এ ভুল কিন্তু এক্কেবারে মেনে নেবেন না আপনার উনি। সোজা ওইদিনই এক্কেবারে বিচ্ছেদ।
৫. অনেকেই এই দিনে প্রিয় মানুষকে ফুল দেন। আবার অনেকে চমক দিতে পাঠান ফুল। কিন্তু দেরিতে বা কোনো কারণে সে ফুল পৌঁছল না বা মাঝপথে চুরি হয়ে গেল। এমতাবস্থায় কুরিয়ার বা ডাকযোগে ফুল না পাঠানোই ভাল।
৬. এ রকম অনেকেই থাকেন যারা কুকুর ছানাকে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে তারা এমন উপহার আশা করেন। তবে সাধারণত সম্পর্কের শুরুতে এমন উপহার না দেয়াই ভাল।
৭. মার্কিন দেশে অনেকেই নাকি প্রেমিক-প্রেমিকাকে রাগিয়ে দিতে টয়লেট সিট উপহার দেন। আপনি কিন্তু এটা ভুলেও করবেন না। তাহলে অবধারিত বিচ্ছেদ!
৮. প্রেমিকা বা প্রেমিকের দারুণ জুতোর শখ। তবে ভুলেও জুতো উপহার না দেওয়াই ভাল। এই দিনটায় বরং তাকে একটু সময় দিন।
৯. শুধুমাত্র টাই দিলেন প্রিয়জনকে। আর কিচ্ছু না, এমনটা কিন্তু ভুলেও করবেন না। তার চেয়ে বরং শুধু একটা ফুলই দিলেন। জামা বা স্যুট ছাড়া টাই উপহার দেওয়াটা খুব একটা ভাল দেখায় না এমন দিনে।