দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী দিঘীপাড়া কয়লা ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা বিষয়ে চূড়ান্ত জরিপকাজ আরো সাত মাস চলবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক খান মোহাম্মদ জাফর সাদিক।
তিনি জানান, এখানে কী আছে কী নেই, থাকলে কী পরিমাণ, সেটাকে কিভাবে উত্তোলন করা হবে, এসব বিষয় নিয়েই কাজ চলছে। জরিপে কয়লা ক্ষেত্রের মূল পয়েন্টের চতুর্দিকে ৬০ টি স্থানে বোরিংয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৪২ টি বোরিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জরিপ শুরু করায় এলাকার মানুষের মধ্যে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন এই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ বলছেন জমির ন্যায্যমূল্য দেয়া হবে কি না।
উল্লেখ্য, ওই কয়লা ক্ষেত্র থেকে কয়লার অনুসন্ধান ও কয়লা উত্তোলনের ব্যাপারে ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র জানায়, দেশের অব্যাহত জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা দীঘিপাড়া কয়লা ক্ষেত্র উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই কয়লা ক্ষেত্রের উন্নয়ন করা হলে এ থেকে বছরে চার মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন সম্ভব হবে যা দিয়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে। সব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ দীঘিপাড়া কোল বেসিনের ২৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মোট কয়লার পরিমাণ নির্ণয়সহ বেসিনের কেন্দ্রীয় অংশে (১০-১১ বর্গ কিলোমিটার) ভূগর্ভস্থ পদ্ধতি ব্যবহার করে বছরে চার মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন খনি উন্নয়নের জন্য বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষকে অনুসন্ধান ও সম্ভাবতা যাচাইয়ের অনুমোদন দেয়।