৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের মামলার অন্যতম প্রধান আসামি আব্দুল আজিজকে প্রেপ্তারের জন্য হন্য হয়ে খুঁজছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। মূলত তার ভাই ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ভাই এমএ কাদেরকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন আব্দুল আজিজ। তার একাধিক মোবাইল নম্বরে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা এ প্রযোজকের ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্মকর্তারাও। যদিও অনেকেই ধারণা করছেন দেশের বাইরে চলে গেছেন আব্দুল আজিজ। তার এই আত্মগোপনে থাকায় জাজ মাল্টিমিডিয়ার কার্যক্রম সামলাচ্ছেন সিইও আলিমুল্লাহ খোকন। খোকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে আজিজের বিরুদ্ধে মামলার পরপরই আলিমুল্লাহ খোকন ২ ফেব্রুয়ারি এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘চলচ্চিত্রের স্বার্থে জাজ নতুন ঘোষণা দিতে যাচ্ছে শিগগিরই।’ কিন্ত সেই ঘোষণা কী? এখনো সবার অজানা। তবে এই বিষয়ে জাজের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘জাজ আগে যেমন চলছিল তেমনই চলছে। নতুন কেউ হাল ধরেনি।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে এমএ কাদের ও তার ভাই আব্দুল আজিজসহ ক্রিসেন্ট গ্রুপ সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি ১৩ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্রিসেন্ট গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিলের বিপরীতে জনতা ব্যাংক থেকে নেওয়া অর্থের মধ্যে ৯১৯ কোটি ৫৬ লাখ দেশে ফেরত আসেনি।
এর মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ৪২২.৪৬ কোটি টাকা, আবদুল আজিজের রিমেক্স ফুটওয়্যার ৪৮১.২৬ কোটি টাকা ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ ১৫.৮৪ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট ৯১৯.৫৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাব্যবস্থাপক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, মুদ্রাপাচারের প্রমাণ পেয়ে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটুল জাহান (মিরা), ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতানা বেগম মনিসহ জনতা ব্যাংকের ১৩ জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে এম কাদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদেরও খোঁজে মাঠে নেমেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।