দিল্লির অনূর্ধ্ব-২৩ দলে ট্রায়ালে এসে দলে সুযোগ না পাওয়ায় নির্বাচক কমিটির প্রধানের মাথা ফাটালো এক ক্রিকটার। তিনি দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারমন্যান তথা প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার অমিত ভাণ্ডারী। ঘটনায় অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র থেকে জানা গেছে, সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টের জন্য সোমবার দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স মাঠে দিল্লি সিনিয়র ক্রিকেট টিমের অনুশীলন চলছিল। সেই দলে সুযোগ না পেয়ে এদিন ট্রায়াল চলাকালীনই এসে ভান্ডারীর কাছে ট্রায়ালে সুযোগ না পাওয়ার কারণ জানতে চান এবং ভান্ডারীকে চড় মারেন ওই অনুর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেটার। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নূপুর প্রসাদের মতে, এরপর জনা ১০-১৫ দুষ্কৃতী চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটারকে। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দিল্লি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যানেজার শঙ্কর সাইনি। তিনি বলেছেন, ‘অনূর্ধ্ব-২৩ দলের একটি ম্যাচ দেখছিলেন ভান্ডারি। ওই সময় দু’জন লোক এসে ভান্ডারির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। এর পরে ওই দু’জন বেরিয়ে যায়। কিন্তু তার কয়েক মিনিট কয়েক পর জনা পনেরো লোক হকি স্টিক, সাইকেলের চেন হাতে নিয়ে ভান্ডারির ওপর হামলা চালায়।’
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানিয়েছেন, 'অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত অনুজ ও তার ভাই নরেশকে আটক করাহয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
জানা গিয়েছে, ডিডিসিএ-র প্রাথমিক ৭৯ জনের তালিকায় ধেড়ার নাম থাকলেও গত নভেম্বর মাসে ট্রায়ালের পরে সে চূড়ান্ত দল থেকে বাদ পড়ে। পিটিআই জানিয়েছে, জন্ম তারিখ ২২ নভেম্বর, ১৯৯৫ হওয়ার কারণেই বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ধেড়াকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়।
অমিত ভাণ্ডারীর উপর আক্রমণের তীব্র সমালোচনা করে টুইট করেন জাতীয় দলের অবসরপ্রাপ্ত ওপেনার বীরেন্দ্র শেওয়াগ। দোষীদের কড়া শাস্তির জন্য তিনি টুইটারে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে ভারতীয় দলের ওপেনার শিখর ধাওয়ানের টুইট, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না অমিত ভাইয়ার সঙ্গে এ রকম একটা ঘটনা ঘটেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, কাপুরুষোচিত ঘটনা। দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের যেন কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়।’