মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার দুই এসআই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীকে ইয়াবা সেবন করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। এ বিষয় ভুক্তভোগী তরুণী সাটুরিয়া থানায় ওই দুই এসআই এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিরা হচ্ছেন, সাটুরিয়া থানায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পুলিশ এএসআই মাজহারুল ইসলাম।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে মামলাটি করেন মামলার আসামি করা হয়েছে এসআই সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে রোববার পুলিশ সুপারের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দীকীকে নিয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেন পুলিশ সুপার।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন। দিনভর প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে ওই তরুণী পুলিশ সুপারের কাছে যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা রয়েছে। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাড়ি পটুয়াখালীতে। তিনি বাবার সঙ্গে সাভারের আশুলিয়ায় থাকেন। তিনি জানান, গত বুধবার বিকেলে পূর্বপরিচিত এক নারীর সঙ্গে তিনি সাটুরিয়া থানায় যান। ওই নারী এসআই সেকেন্দার হোসেনের কাছে টাকা পান। থানায় যাওয়ার পরপরই সেকেন্দার তাদের থানার পাশে জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে বসে পাওনা টাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময় এএসআই মাজহারুল উপস্থিত হন।
সেখানে একটি কক্ষে ওই তরুণীকে আটকে রাখা হয়। পরে দুই পুলিশ ইয়াবা সেবন করেন। তাকেও ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানান ওই তরুণী। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করেন দুই পুলিশ।