ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানায় সৌদি নাগরিক আলদুসারী নাচ্ছের ফালেহ জি (৪৮) (আবু নাছের আল দুসারী) মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তার ছোট ভাই ছাদ সালেহ।
আজ সোমবার(১১ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দেশে নেয়ার জন্য তিনি সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদনও জমা দেন।এছাড়াও তিনি একই দিনে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ডক্টর সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন বিপিএমের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অপরদিকে নাছেরের বন্ধু আবু সাইদ সানীর সঙ্গে জেলখানায় সাক্ষাৎ করেন সৌদি নাগরিকের ভাই ছাদ সালেহ। এ দিকে রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে এ লাশ গ্রহণ করেন সৌদি দূতাবাসের সেক্রেটারি টু চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়াসিন মো. আব্দুস শহীদ চৌধুরী।
লাশ হস্তান্তর করেন গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, লাশ ঢামেক হিমঘরে রয়েছে। সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিপ্লব মহন্ত।
গৌরীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দেশে নেয়ার জন্য সৌদি নাগরিক মৃত নাছেরের ছোট ভাই আবেদন করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাসের সমন্বয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে আবু নাছের আল দুসারী মৃত্যুর ঘটনায় গৌরীপুর থানার এসআই বিপ্লব মহন্ত বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। লাইসেন্সবিহীনভাবে চোলাই মদসেবন করার অপরাধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আবু সাইদ সানীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এ মামলা দায়ের করেন গৌরীপুর থানার এসআই মো. শরীফ উদ্দীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডৌহাখলা গ্রামের করম আলীর ছেলে আবু সাঈদ সানীর সঙ্গে প্রায় ২০ বছর আগে ঢাকায় পরিচয় হয় আবু নাছের আল দুসারীর। এ পরিচয়ের সূত্র ধরেই অবকাশযাপনের জন্য প্রায়ই তিনি গৌরীপুরে আসতেন। সানির লালন আখড়ার নামে চলত মদ, গাঁজার সঙ্গে গান-বাজনাও।
সৌদি নাগরিক সর্বশেষ এ দেশে আসেন ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর। সেদিন থেকেই সানীর বাড়িতে তিনি থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় সানীর বাড়িতে আবু নাছেরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গৌরীপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। আবু নাছের একজন ভিসা ব্যবসায়ী।