ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া নাতনীকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে মকসেদ আলী (৩৯) নামে এক দুঃসম্পর্কের দাদাকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোকসেদ আলীকে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ডাঙ্গীবাজার থেকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক। মকসেদ আলী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কাশিডাঙ্গা গ্রামের জাহের আলীর ছেলে। তার দুই সন্তান ও স্ত্রী রয়েছেন।
অন্যদিকে, স্কুলছাত্রী বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ১৩নং কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মেয়ের দাদী জানায়, প্রতিবেশীর হওয়ার কারণে তাকে দাদা বলেই ডাকতো স্কুলছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে সম্পর্কের দাদা মকসেদ আলী স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় স্কুলছাত্রী চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন ছুটে গেলে মকসেদ অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মোড়লরা রাতে মীমাংসার চেষ্টা করলেও স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার তাকে রবিবার বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার বাবা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তার মাহাবুব আলম বলেন, স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসা প্রদান করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে নখের দাগ রয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল বলেন, পুলিশ মেয়েটির মুখে ঘটনার কথা শুনে অভিযুক্ত মকসেদকে আটক করেছে। মেয়ের বাবাকে থানায় ডাকা হয়েছে। মেয়ের বাবা আসলে তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে দাদার কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঘটনার শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রী। স্কুলছাত্রী জানায়, এর আগেও মকসেদ আলীর বিরুদ্ধে অন্য মেয়ের সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে ধরা পরেছিল মকসেদ। স্কুলছাত্রীর পাশাপাশি মকসেদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার দাদীও।