Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সময়-খরচ কম হওয়ায় সারিবদ্ধভাবে ধান রোপণে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৪ AM
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:৫৪ AM

bdmorning Image Preview


দিনাজপুরের বৃহত্তম উপজেলা চিরিরবন্দরে 'বোরো আবাদ শুরু' প্রযুক্তির সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রতিটি ইউনিয়নে সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। 

জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজচারা উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের প্রযুক্তি গ্রহণের অংশ হিসাবে দড়ি দিয়ে লাইন করে ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। পাশাপাশি লোগোভো পদ্ধতি অনুসারে দশ লাইন করে এক লাইন ফাঁকা রেখে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষি শ্রমিকরা। আর এর সাথে পোকা দমনে পাচিং পদ্ধতির সংযোজন বোরো আবাদের জমি আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৬ হাজার ৩'শ ৩০ হেক্টর জমিতে উফসি এবং ২ হাজার ১'শ ৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার গড় লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার ৫'শ ১০ হেক্টর।

কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কৃষক সাঈদুর রহমান,শফিকুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, রহমান আলীসহ আরো অনেকে জানান, কৃষি অফিসের পরামর্শ মতে বোরো ধানের জন্য আদর্শ বীজতলা তৈরি  ও সঠিক বয়সের চারা রোপণে সুষম সারের ব্যবহার বাড়ছে। লাইন লোগোভো ও পাচিং এর জন্য কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষি কর্মকতার্রা এসে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন।

ফতেজংপুর ইউনিয়নের কৃষক অনিসুর রহমান ও আব্দুল ওয়েদ জানান, গত বছরের আমন মৌসুমেও চারা রোপণে  লাইন লোগোভো প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছি। তাই বোরো আবাদে আবারও এ পদ্ধতিতে চারা রোপণ করছি।

তাছাড়া এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভাল হয়েছে। চিরিরবন্দরের ধানের ফলন এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে। কৃষি সম্পসারণ বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও তদারকি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরিমিত এবং যথাসময়ে সেচ-সার ও বালইনাশক প্রয়োগ করলে বোরো ধানের ফলন আমন ধানের চেয়ে কম হবেনা বলে কৃষকরা আশা করছে। 

কৃষি সম্প্রাসারণ কর্মকর্তা অখিল কুমার রায় বলেন, এবারে বোরো বীজতলা তৈরিতে কৃষিক্ষেত্রে যোগ হয়েছে কমিউনিটি ও আদর্শ বীজতলা। কমিউনিটি বা আদর্শ বীজতলা তৈরি করায় কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ খরচ কমে গেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১৮ হাজার ৫'শ ১০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকরা সঠিক পরিচর্যা করে বীজতলায় বোরো চারাকে সবল ও সতেজ করে রেখেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
 

Bootstrap Image Preview