চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল গ্রামে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১৪ বছর পর এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোতাহের আলী এই দণ্ড দেন। আসামির নাম আমির হোসেন (৩৫)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ১৬ মে হাটহাজারী উপজেলার মেখল গ্রামে ফুফু বাড়িতে বেড়াতে যায় কিশোরী জুলি আক্তার (১০)। আসামি আমির হোসেন কিশোরীর ফুফুর বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। এসময় আমির হোসেন জুলিয়াকে অপহরণ করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যা করে খালে ফেলে দেন। পরে খাল পাড় থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমির হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট পুলিশি তদন্ত শেষে দেয়া হয় চার্জশিট। পরের বছর ৮ সেপ্টেম্বর মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।
মোট ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযাগ প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯ (২) ধারা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।