সৌদি আরবের পবিত্র মদিনায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)'র রওজা মুবারক জিয়ারত করতে গিয়ে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে ছয় বছরের শিশু। শিশুটির নাম জাকারিয়া জাবের। তার মায়ের মুখে দরুদ শরীফ শোনার পর গাড়ীর কাঁচ ভেঙে তা দিয়ে মায়ের সামনেই শিশুটিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার।
বলা হচ্ছে, মাজহাবগত বিদ্বেষের শিকারে পরিণত হয়েছে শিশুটি। এরইমধ্যে শিশুটির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানি গণমাধ্যমে।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতের। শিশুটিকে নিয়ে তার মা একটি ট্যাক্সিতে করে মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.)'র রওজা মুবারকের দিকে যাচ্ছিলেন। ট্যাক্সিতে উঠে তিনি দরুদ শরীফ পাঠ করতেই ট্যাক্সি ড্রাইভার জানতে চান তিনি শিয়া মুসলমান কিনা? উত্তরে ওই নারী বলেন- 'জ্বি'।
এরপরই ট্যাক্সি থামিয়ে চালক নিচে নেমে আসে এবং ট্যাক্সির ভেতর থেকে শিশুকে নামিয়ে এনে ভাঙা কাঁচ দিয়ে মায়ের সামনে শিশুটিকে হত্যা করে। মা এই দৃশ্য দেখে সেখানেই জ্ঞান হারান।
মদিনায় এমন হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই বলছে, কতটা উগ্র ও হিংস্র হলে নিষ্পাপ শিশুকে এত নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে একজন মানুষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
এ বিষয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সত্যিই যদি মাজহাবগত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে সৌদি সমাজে নৈতিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে চরম অবক্ষয় ঘটে গেছে এবং ধর্মীয় উগ্রতা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে। তারা এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কেউ কেউ জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি একজন নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করতে পেরেছে, সে নির্দ্বিধায় গোটা মুসলিম সমাজ এমনটি গোটা পৃথিবীকেও ধ্বংস করে দিতে পারবে।