টেকনাফে র্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যদের পৃথক অভিযানে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হয়েছে। এ সময় কোস্টগার্ড দু’টি অভিযানে কাউকে আটক করতে না পারলেও র্যাব সদস্যরা ৩ জনকে আটক করেছেন বলে জানা প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে নাফ নদীর ট্রানজিট ঘাট এবং জাইল্যার দ্বীপ এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নাজির পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে নুর আলম (৩৫), পুরান পল্লানপাড়ার নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ আলম পারভেজ (২৫) ও অলিয়াবাদ এলাকার নজির আহমদের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (১৮)।
কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার কেকে খালের দক্ষিণ পাশে ট্রানজিট জেটিঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া জাইল্যার দ্বীপ এলাকায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় আরও ২০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। এসব ইয়াবা টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৭ টেকনাফ ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ মির্জা শাহেদ মাহতাব সাংবাদিকদের জানান, ‘ইয়াবা সেবনের এবং ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাঁর নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ডিগ্রী কলেজপাড়ার মধ্যম রোডের শফিকের বাড়ির সামনে একটি চৌকষ আভিযানিক দল নিয়ে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার পিস ইয়াবা, সেবনের ২টি প্লাস্টিক নল ও নগদ ৮ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করে। আটককৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।