Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ট্রাম্পের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চান খাশোগির বাগদত্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৫ PM
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:১৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চান নিহতের বাগদত্তা হিতেস চেঙ্গিস।

এই নারী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস নতুন করে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে তাকে স্বাগত জানাবেন তিনি। ইতোপূর্বে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেও শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী মার্চে যুক্তরাষ্ট্র সফরের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। খাশোগিকে নিয়ে লেখা নিজের একটি বই প্রকাশ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার দায়ে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে কংগ্রেসের উদ্যোগ এরই মধ্যে আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থানের দোহাই দিয়ে সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান তার। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতায় কোনও ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখতে রাজি নয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ট্রাম্পের এমন অবস্থানের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যাশা করেন ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া খাশোগির বাগদত্তা।

দ্বিতীয় বিয়ের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত বছরের ২ অক্টোবর খাশোগি ইস্তানবুল কনস্যুলেটে ঢুকলে বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন হিতেস চেঙ্গিস। খাশোগি আর বেরিয়ে না আসার বিষয়ে তিনিই প্রথম সংবাদমাধ্যম ও কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন। ওই ঘটনার পর ট্রাম্প তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানালেও তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি বলেছিলেন নিজের পক্ষে জনমত প্রভাবিত করার লক্ষ্যে তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প।

খাশোগি হত্যায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার পর্যাপ্ত আলামত মিললেও রিয়াদ তা নাকচ করে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ খাশোগির হত্যার পেছনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে। তবে একে ‘খুবই অপরিপক্ক’ তদন্ত বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। তবে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে হিতেস চেঙ্গিস বলেছেন, তিনি (ট্রাম্প) যদি এই ইস্যুতে নতুন কোনও পদক্ষেপ বা নতুন কোনও উদ্যোগ নিতে চান তাহলে আমি স্বাগত জানাবো।

ডিসেম্বরে মার্কিন সিনেটে খাশোগি হত্যায় যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে সৌদি আরবে সামরিক সহায়তা বন্ধের প্রস্তাব পাস হয়েছিল। একই মাসে ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের সঙ্গে কয়েকজন রিপাবলিকান সিনেটর যোগ দিয়েও রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে সেই প্রস্তাব পাস হয়নি। কিন্তু গত নভেম্বরের নির্বাচনের পর সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে গেলেও নিম্ন কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটিটিভে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি হয়েছে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রসঙ্গ সামনে এনে চেঙ্গিস বলেন, ‘কংগ্রেস পুর্নগঠিত হয়েছে। আইনপ্রণেতারা বদলে গেছেন। আমি আশাবাদী। এখনও আশা আছে। আমার বিশ্বাস নতুন কংগ্রেস আরও নিবিড়ভাবে এই ইস্যু পর্যবেক্ষণ করবে’।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খাশোগি হত্যারি নির্দেশ সৌদি যুবরাজ দিয়েছেন কিনা তা পরিস্কার করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে কংগ্রেসের বেঁধে দেওয়া সময় শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই বৃহস্পতিবার এই হত্যাকান্ড নিয়ে সৌদি আরবকে শাস্তি দিতে ট্রাম্প প্রশাসনকে আবারও চাপ দিয়েছেন কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা।

Bootstrap Image Preview