সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে খেলার ছলে ধর্ষণের শিকার হল প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৭ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভিকটিমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক কিশোর সাইফুল ইসলামকে (১৪) গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইফুল উপজেলার বাদাঘাট (উওর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পুরানলাউড় গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সীমান্তবর্তী পুরানলাউড় গ্রামের সাইফুল বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলারছলে গ্রামের প্রতিবেশ স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ক্ষুদে স্কুল ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা গড়িয়ে এলে সাইফুল ওই ছাত্রীকে বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে ঝোঁপের মধ্যে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে সাইফুল ঝোঁপের মধ্যে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন সন্ধ্যার পর ওই স্কুলছাত্রীর সন্ধানে বের হলে গ্রামের ঝোপের মধ্য থেকে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।
স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসায় জ্ঞান ফিরলে ওই ছাত্রী গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজনের নিকট তার সাথে হওয়া সব কথা জানায়।
এবিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর জানান, এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের পর শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালেই সাইফুলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসামী অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর হওয়ায় পরবর্তীতে আদালত তাকে ঢাকাস্থ গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।