Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মহাদেবপুরে উন্নত জাতের গম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৫৬ PM
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত নওগাঁর অন্যতম খাদ্য ভান্ডার মহাদেবপুর উপজেলায় কৃষি ব্যবস্থায় ঘটছে পরিবর্তন। উন্নত জাত ও অর্থকরী স্বল্প সময়ের ফসলের প্রতি দিন দিন ঝুঁকছে কৃষকরা। অন্যদিকে কম মুনাফা ও ঝামেলাযুক্ত ফসলের চাষ কমে যাচ্ছে।

গত কয়েক বছর যাবত বাম্পার ফলন ও অধিক লাভজনক হওয়ায় সচেতন কৃষকরা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের গম চাষে ঝুঁকছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছরও প্রত্যেক গম চাষী অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে মনে করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

গম মূলত শীত প্রধান দেশের খাদ্য ফসল। আমাদের দেশে গম আবাদের ইতিহাস খুব বেশি দিন আগের নয়। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরসহ গম গবেষণা কেন্দ্র দেশে গম আবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও কৃষকদের অবদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কৃষিবিদগণ।

কম সেচে অধিক ফসল উৎপাদনসহ রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় গম চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। পাশাপাশি ধানের সাথে তুলনামূলকভাবে গমের দামও ভাল। ফলে কৃষক কম খরচে অধিক আয়ের লক্ষ্যে গম আবাদে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। বোরো ধানের চেয়ে গম চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কম। ফলে কৃষকের বিনিয়োগ কম, আয় বেশী। বারি-২৫, ২৬, ২৮, ২৯, প্রদীপ, বিজয় ও শতাব্দী এসব জাতের গমে পোকার আক্রমণ কম হয়। ফলনও ভাল হয়। অন্য জাতের গমের চেয়ে এসব জাত চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। ফলে কৃষকরা এসব জাতের গম চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৬’শ ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষকরা ৪’শ ১০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বারি-২৫, বারি-২৬, বারি-২৮, প্রদীপ, বিজয় ও শতাব্দী জাতের গম চাষ করেছেন।

উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের কৃষক হিরালাল সরকার জানান, গত বছর ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এবার ৪ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) গম আবাদ করেছি। কৃষি অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচর্যা করছি। আশা করছি বিঘা প্রতি ১৪ মণ ফলন হবে। একই গ্রামের কৃষক সমরেশ জানান, প্রতিবছরের মত এবার ৩ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। এ পরিমাণ জমি থেকে গত বছরের মত এবারও ৪২ মণ গম পাওয়ার আশা করছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, কৃষকরা যেন গম চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন এজন্য আমরা সর্বাক্ষণিক নজর রাখছি। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পাশে থেকে তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

 

Bootstrap Image Preview