হয়েছিলেন অপহরণ, তাকে ফিরিয়ে এনে সালিস বসে গ্রামে। ঐ শালিস থেকে রায় আসে অপহৃত ওই মেয়েই এখন গ্রাম ছাড়া। মেয়ের গ্রাম ছাড়ার কারণ জানতে গিয়ে নেপথ্যে এক যুবলীগ নেতার অবদানের কথা বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়ের মা-বাবার বিয়েবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। মা ঢাকায় থাকে। মেয়েটি নানার বাড়ি গৌরনদীতে থেকে পড়ালেখা করে। তার যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত পালরদী গ্রামের আকবর বিশ্বাসের ছেলে রাকিব (২২)। ঘটনা মেয়ের নানা ছেলের অভিভাবকদের জানায়। গত ৩১ জানুয়ারি মেয়েটি প্রাইভেট পড়ার জন্য নানাবাড়ি থেকে বের হয়। এদিকে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দুজনকে ঢাকার রায়েরবাজার থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে। এ নিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি গৌরনদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমীন হাওলাদারের কসবা গ্রামের বাসায় সালিস বসে। সালিসে রাকিবের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছেলে-মেয়েকে এলাকা ছাড়ার রায় দেওয়া হয়। স্ট্যাম্পে ছেলের স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। জরিমানার টাকা পরে মেয়ের পরিবারকে দেওয়া হয়। এরপর মেয়ের পড়াশোনা বন্ধ করে পরিবার তাকে ঢাকায় মায়ের কাছে পাঠায়। কিন্তু রাকিব এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আল আমীন হাওলাদার বলেন, ‘উভয় পক্ষ আমার কাছে গেলে বখাটে রাকিবকে শাসানো হয়। স্ট্যাম্পের ব্যাপার হলো ওকে ভয় দেখানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এ রকম কাজ না করে।’
গৌরনদী থানার পরিদর্শক মো. গোলাম ছরোয়ার বলেন, ‘থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’গৌরনদী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিটন বেপারী বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’
মেয়েটির বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মীর আব্দুল আহসান আজাদ বলেন, ‘স্কুল চলাকালীন খোঁজ নিলে হাজিরা খাতা দেখে সঠিকটা বলতে পারব।’