Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গমের ভাল ফলন ও লাভের আশা করছে চাষীরা

শহিদুল ইসলাম, বেনাপাল প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৫ PM
আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৭:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


অভাবনীয় পুষ্টিগুণে ভরা একটি ফসলের নাম গম। ভাতের পাশাপাশি গমের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। চিকিৎসকরা বলেন, গম দিয়ে তৈরী হয় রুটি, বিস্কুট ও কেকসহ নানা রকম খাদ্য। এটি শরীরের জন্য খুব প্রয়াজনীয় একটি খাবার।

গম চাষ একটি লাভজনক ফসল হলেও, বর্তমান সময়ে গম চাষের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। যে গম দেশের মাঠে ব্যাপকভাবে চাষ হতো সেই গম চাষের প্রতি অনীহা দেখা দিয়েছে চাষীদের মাঝে। ব্যাপক বিস্তার লাভ করা উৎপাদনশীল ফসল গম, আজ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই গমই দেশে দানা ফসল হিসাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। আর আজ ক্রমেই এই গম চাষে ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

গত কয়েক বছর পেছনের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই, গমের ব্লাষ্ট ভাইরাস কতটা ক্ষতি করেছে গম চাষে। চলতি বছর যশোরের শার্শা উপজলায় গমের আবাদ হচ্ছে মাত্র ৭ হেক্টর জমিতে। যা বিগত কয়েক বছর আগে চাষ হয়েছে ৫০০ হেক্টরের উপরের। তারও আগে ৫০০০ হেক্টর ছাড়িয়ে ছিল। গম চাষের প্রতি চাষিদের চলতি গম আবাদ এক প্রকার নিরুৎসাহিত করেছেন বলে জানান স্হানীয় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলায় কৃষি পণ্য উৎপাদন হিসাবে এক সময় বিখ্যাত ছিল। বছরের বিভিন্ন সময়ের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সব সময় ব্যস্ত থাকতো কৃষি কাজ। এই উপজেলার চাষিদের চাষযোগ্য ফসলের অন্যতম একটি ফষল হিসাব ছিল গমের আবাদ। হঠাৎ করেই গত কয়েক বছর ধরেই ব্যাপক ভাটা পড়ে গম চাষে। গমে ক্ষতিকর ব্লাষ্ট ভাইরাস লাগায় ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়ে শার্শা উপজেলাসহ দেশর বিভিন্ন চাষযোগ্য অঞ্চল।

প্রথম অবস্থায় ক্ষতিটি পুষিয়ে নিয়ে পুনরায় পরের বছর আবারো গম চাষ করে একই ভাবে আর্থিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন কৃষককুল। গম চাষে মন্দার কা্রণে গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন গম চাষীরা। আর তারপর গম চাষ থেকে বিরত থাকতে অনুরাধ করেন কৃষি বিভাগ। পরপর কয়েক বছর গম চাষে বিরত থাকার পর আবারো শার্শা উপজেলায় গম চাষ শুরু হয়েছে। যা হয়েছে তা ১০০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ কম। চলতি গম আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং ব্লাষ্ট ভাইরাস এর প্রকোপ কমায় গম আবাদ ভালো হয়েছে, এতে চাষীরা লাভবান হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ।

তাছাড়া এখানে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে এ বছরও গম চাষীদের নিরুৎসাহিত করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। গম চাষিরা জানান, শত বাঁধা, বিপত্তি, ভয় ও নানাবিধ প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে আমরা গম চাষ করছি। কোন রকম দুর্যোগ না আসলে আশা করছি ভালো ফষল ঘরে তুলতে পারবো পাশাপাশি লাভের মুখ দেখবো।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সৈাতম কুমার শীল জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। বিগত বছর গমে ব্লাষ্ট ভাইরাস আক্রমণ এর কারণে কৃষকদের গম আবাদ থেকে নিরুৎসাহিত করেছি এবং এখনও করেছি যার কারণে চলতি ২০১৯ সাল গমের আবাদ পুরাপুরিভাবে কমে গিয়ে মাত্র ৭ হেক্টর জমিতে।

তিনি জানান, গমের ব্লাষ্ট ভাইরাসের প্রকোপ বর্তমানে এখনও পরেনি, আর যদি এর প্রকোপ না দেখা দেয় তাহলে আবারো আগামী বছর থেকে আশা করছি কৃষকরা গম চাষের উপর মনোযোগী হবে। আমি এবং আমার কৃষি বিভাগ সর্বদায় গম চাষীদের সঠিক পরিচর্যা পরামর্শ প্রদান ও সহযাোগিতা করছি। আশা করি এবছর গমের আবাদ ভাল হবে।

Bootstrap Image Preview