হাসপাতালের মধ্যেই ৩ চিকিৎসককে পিটিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

শিবিরের রাজনীতির অভিযোগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হলেন, খুলনার ফুলতলা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে রাফসান জনি আবির, একই এলাকার কাজী আহসানুল হকের ছেলে কাজী আবু তালহা ও যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান শিমুল।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মেডিকেল কলেজের ৪৬ ব্যাচের ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস ও সজল পান্ডের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন কর্মী আবির, শিমুল ও তালহার ওপর হামলা চালান। এ সময় পিটিয়ে তাদের ৩ জনকে আহত করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সজল পান্ডে বলেন, শিমুল একসময় শিবিরের রাজনীতি করলেও এখন ছাত্রদলে যোগ দিয়েছে।

এছাড়া বিএনপির আমলে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছিল আটক ওই তিনজন। তারা দির্ঘদিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিল। দুপুরে তাদের ক্যাম্পাসে পেয়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের রোষাণল থেকে বাঁচাতে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, আটক চিকিৎসকদের মধ্যে আবির মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি, শিমুল সহসভাপতি এবং তালহা সাধারণ সম্পাদক।তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।

কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরকারবিরোধী নানা অপপ্রচার চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।