Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মির্জা ফখরুলও শপথ নিবেন: কাদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০২:৫৮ PM
আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:০০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় (বগুড়া-৭) যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন সেটিও তো ভেবে দেখতে হবে। আমার তো মনে হয় তিনিও সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। আর স্ট্রাটেজিক (কৌশলগত) কারণে পরে শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বিএনপি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতবার উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিজয়ীর সংখ্যায় বেশি ছিল বিএনপির। গতবার যারা বিজয়ী হয়েছে তারা এবার নির্বাচন একেবারে ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেবে, আমার তো মনে হয় এটার সম্ভাবনা খুব কম। অনেকেই নির্বাচন করতে চাইবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা দলীয়ভাবে, অফিসিয়ালি বলেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে তাদের প্রার্থী নেই। কিন্তু কাউন্সিলর-ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক নেতার প্রার্থীতা রয়েছে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) হয়তো ওপেনলি প্রতীকে নেই। তারা একেবারে মাঠে নেই- একথা বলা যাবে না। উপজেলা নির্বাচনে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে। দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কাজেই আমাদের সবকিছুই মাথায় রাখতে হচ্ছে। ওপেনলি ঘোষণা দিচ্ছে না। তারা (বিএনপি) ভিতরে-ভিতরে প্রার্থীতার জন্য মনোনয়ন জমা দিচ্ছে। নির্বাচনে বিএনপি না আসলেও প্রার্থীতার অভাব হবে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি নির্বাচন না করলে অন্যরা করবে না, তা তো নয়। জাতীয় পার্টি আছে, ১৪ দলের শরিকরা আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার। আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে তাদের নির্বাচনে (উপজেলা) আসার আহ্বান জানাতেই পারি। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে এটা তাদের অধিকার। রুলিং পার্টির কোনো সুযোগ বিতরণ নয়৷

বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণ আন্দোলন করার মতো ইস্যু তাদের কাছে ছিল, কিন্তু তারা তখন আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি যখন গ্রেফতার হলেন তখন তারা জনমনে বিন্দুমাত্র আলোড়ন তুলতে পারেনি। তারা যে আন্দোলন করবে নতুন করে কোনো ইস্যু তাদের সামনে নেই। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এ মুহূর্তে সরকার তো কোনো ইস্যু দিচ্ছে না তাহলে তারা কীসের উপর ভিত্তি করে আন্দোলন করবে।

এ সময় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মনসুরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগে ফিরছেন কি না এটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে, রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে প্রভাবিত করব?

উল্লেখ্য, একাদশ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অন্য সবাই শপথ নিলেও বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৮ নির্বাচিত সদস্য এখনও শপথ নেননি।তবে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

Bootstrap Image Preview