Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এক দিনেই দুইবার এসএসসি পরীক্ষা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রশ্নপত্র ভুল এবং দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণে একইদিনে দুবার এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হয়েছে সাতক্ষীরা ও শেরপুরের কয়েকটি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের। আজ শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতার মুখোমখি হতে হয় তাদের।

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ ও শেরপুরের শ্রীবরদীতে কয়েকটি কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসলে ২০১৯ সালের নতুন প্রশ্নে আবারও তাদের পরীক্ষা দিতে হয়।

চাম্পাফুল আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ কেন্দ্রে ৪৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জনকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বিষয়টি নজরে আসলে আগের পরীক্ষা বন্ধ করে নতুন প্রশ্নপত্রে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয় কেন্দ্রসচিব সুখলাল বাইনকে।

অপরদিকে একই ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের শ্রীবরদীর কয়েকটি কেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র সরবরাহের একঘণ্টা পর বিষয়টি বুঝতে পেরে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হয় নতুন প্রশ্নপত্রে।

অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, ‘২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র বণ্টনের প্রায় তিনঘণ্টা পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে দুপুর একটা থেকে নতুন বছরের প্রশ্নপত্রে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনার জন্য কেন্দ্রসচিব সুখলাল বাইন সরাসরি দায়ী। তাকে তখনি বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী কেন্দ্রসচিব আরিফুল ইসলাম।’ এছাড়া প্রশ্নপত্র ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজে জড়িত আরও ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, ‘পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘বোর্ডের কাছে উত্তরপত্র পৌঁছালে তা মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন এ ঘটনায় পরিক্ষার্থীদের ভীত হবার কিছু নেই।’ যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার টেংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান জানান, ‘ওই কেন্দ্রে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে কেন্দ্রসচিব আবুল খায়ের বলেন, ‘কয়েকটি কক্ষে ভুলবশত ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজুতি ধরের পরামর্শে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। হয়তো ভুলবশত এসব প্রশপত্র ২০১৯ সালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্যাকেটে ভরা হয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দ্রুত ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকটি করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হয়েছে।’

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওইসব প্রশ্নপত্র নিয়ে ফটোকপি করে আবার পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এতে সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও তেমন সমস্যা হয়নি।

Bootstrap Image Preview