Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে এডিসহ পরিচালক অবরুদ্ধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:০০ PM
আপডেট: ৩১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৪:০০ PM

bdmorning Image Preview


লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা আরশী নগর'র পরিচলক বাদশা আলমের বিরুদ্ধে।

টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (এডি) ও আরশী নগর'র পরিচলক বাদশা আলমকে অবরুদ্ধ করেন।

মাঠকর্মীরা আভিযোগ করেন, কেন্দ্রগুলোতে নিন্মমানের আসবাবপত্র দেয়া হয়েছে।

গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (এডি) সাইদুর রহমান ওই প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে স্বাকীর করে বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় ৩শ' কেন্দ্র চালু হয়। ওই কেন্দ্রগুলোতে ১ জন করে শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়া হয়। শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার নামে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা আরশী নগর’র পরিচলক বাদশা আলম ১শ' ৩৫ জন আবেদনকারীর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। কিন্তু তাদের চাকরি দেয়া হয়নি।

এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার হাতীবান্ধা গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের অফিসে গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান ও আরশী নগর’র পরিচলক বাদশা আলমকে অবরুদ্ধ করেন। পরে গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান তদন্ত সাপেক্ষে টাকা ফেরত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারা অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পায়।

অভিযোগকারী দীলিপ কুমার বর্মন ও বাবলু হোসেন ও ব্রজেন্দ্র রায় জানান, আরশী নগর’র পরিচলক বাদশা আলম তাদের কাছ থেকে ১শ' ৩৫ জন আবেদনকারী বিপরীতে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন চাকরি দেয়ার কথা বলে। কিন্তু তাদের চাকরি দেয়া হয়নি এবং টাকাও ফেরত দেয়া হয়নি।

গণশিক্ষা স্বাক্ষরতা প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, আরশী নগর’র পরিচলক বাদশা আলমের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার একটি অভিযোগ পেয়েছি।

এ ছাড়া মাঠকর্মীরা আভিযোগ করেন, কেন্দ্রগুলোতে নিন্মমানের আসবাসপত্র দেয়া হয়েছে। আমিও স্বীকার করি এ প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Bootstrap Image Preview