বাংলাদেশের আমদানিকারকদের কাছে সুতা রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। তবে এতে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে।
সম্প্রতি বিকেএমইএ’র সাথে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ধন বাহাদুর ওলি।
বিকেএমইএ ঢাকা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিকেএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মনসুর আহমেদ। এছাড়াও বিকেএমইএ’র দ্বিতীয় সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, পরিচালক মোস্তফা জামাল পাশা, মোস্তফা মনোয়ার ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন আহমেদ আজাদ, নেপাল ইয়ার্ন প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পবন কুমার গোলিয়ান, রিলায়েন্স স্পিনিং মিল লি., নেপালের পরিচালক অক্ষয় গোলিয়ানসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নেপাল তাদের চারটি স্পিনিং কারখানার সাহায্যে পলিয়েস্টার, ভিসকস, ল্যাকরাসহ কয়েক ধরনের সুতা উৎপাদন করছে। যা তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে কাছাকাছি হওয়ায় কম সময় ও কম খরচে বাংলাদেশে সুতা রপ্তানির সুযোগ রয়েছে নেপালের। বৈঠকে বলা হয় ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক দামে বাংলাদেশ নেপালের কাছ থেকে সুতা পেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় বাধা বলে উল্লেখ করা হয়।
এক্ষেত্রে সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে সুতা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করে নেপালের প্রতিনিধি দল।
নেপালের কাছ থেকে সুতা আমদানি সহজতর হলে কম সময় ও কম খরচে সুতা পাওয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে উল্লেখ করে রপ্তানি বাধা দূর করতে নেপালের প্রতি বিকেএমইএ’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিকেএমইএ ও নেপাল দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।